চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ঘাড়ের কাছে করোনার নিঃশ্বাস, কী ভাবছেন বলিউডের লেখকরা?

‘মনে যখন কোনো ভয় থাকে না, তখনই লেখা সম্ভব’

করোনাভাইরাস এর কারণে ভারত লক ডাউন করা হয়েছে। অবসরের এই সময়টাতে বলিউডের লেখকরা কি লিখছেন? নাকি চারিদিকের মৃত্যু সংবাদ আর ঘাড়ের কাছে করোনার নিঃশ্বাস কেড়ে নিয়েছে তাদের সৃষ্টিশীল ভাবনা? বলিউডের ছয় লেখক জানালেন তাদের করোনাকালের কথা:

গৌরব সোলানকি: আর্টিকেল ফিফটিন এর সহ-লেখক গৌরব সোলানকি বলেন, ‘অবাক লাগে ভাবতে, সময়, কাজ, সম্পর্ক, রাজনীতি, পরিবেশ, স্বাস্থ্যের অবস্থা কীভাবে বদলে গেল। এটা দীর্ঘমেয়াদি হলে কি আমাদের চাহিদাগুলোও বদলে যাবে? সব অনিশ্চিত হয়ে গেছে। কতদিন লাগবে সব নিরাপদ হতে, তার উপর নির্ভর করছে সব কিছু। এসব বিষয়ের প্রভাব গল্পের চরিত্রেও পড়বে।’

গৌরব জানান, তিনি এই লক ডাউনের সময়ে দুটি গল্প লিখেছেন। দুটি গল্পই বর্তমান সময় নিয়ে। একটি মাত্র ফিকশন লিখতে পেরেছেন তিনি।

ম্রুনময়ী লাগু: ‘থাপ্পড়’ ছবির সহ-লেখিকা ম্রুনময়ী জানান, লেখায় মনোযোগ দিতে পারছেন না তিনি। তবে তার একটা লেখার ডেডলাইন থাকায় কিছু কাজ করা হচ্ছে। নাহলে নানা চিন্তায় লেখার সুযোগ হতো না।

আতিকা চোহান: ‘ছপাক’ ছবির গল্প লিখেছেন আতিকা চোহান। এই লেখিকা জানান, এই সময়ে লেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকলে অপরাধ বোধ জাগছে মনে। আবার শুধু ইন্টারনেটে ঘেঁটে সময় কাটালেও মনে হচ্ছে সময় নষ্ট হচ্ছে। রাতগুলো অনেক বড় মনে হচ্ছে।

আতিকা আরও জানান, মন খারাপ হওয়ার কারণগুলো জেঁকে বসেছে। মন ভাঙ্গা, বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হওয়ার বিষয়গুলো মনে পড়ছে। মিটিং এবং কাজ নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত না রাখায় এমনটা হচ্ছে।

কিছু কাজের ডেডলাইন থাকায় প্রতিদিনই অল্প অল্প করে কাজ করা হচ্ছে। তবে তিনি জানেননা, কখন এই ছবিগুলোর কাজ শুরু করা যাবে। কারণ সব কিছু অনিশ্চিত হয়ে গেছে।

শেলি: ‘দেব ডি’, ‘উড়তা পাঞ্জাব’, ‘মনমর্জিয়া’ সহ একাধিক ছবির গান লিখেছেন শেলি। তিনি জানান, ফিকশন লিখেছেন না তিনি। তবে ভাবছেন। রাতগুলো জেগে কাটাচ্ছেন। তরুণ এবং শিশুদের মৃত্যু তার মন খারাপ করে দিচ্ছে।

শেলি জানান, তিনি চারটি কবিতা লেখা শুরু করেছেন। এছাড়াও তিনি ইউটিউব দেখে এবং বন্ধুদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলে সময় কাটাচ্ছেন।

রিতেশ শাহ: ‘বাটলা হাউজ’, ‘পিঙ্ক’, ‘অর্জুন পাতিয়ালা’র গল্প এবং চিত্রনাট্য লেখক রিতেশ জানান, অনেক লেখকের জন্য এই সময়ের অস্থিরতাটা না লেখার যুক্তিসঙ্গত অজুহাত হতে পারে। কারণ আশেপাশে যা হচ্ছে, সেই চিন্তা মাথায় আসবেই। ঘুম ভাঙ্গার পর থেকে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত, ভিন্ন এক জীবন কাটাচ্ছে মানুষ। তাই লেখায় ডুবে থাকাটা কঠিন। নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়।

সাওয়ানন্দ কিরকিরে: ‘হাজারো খোয়াইশে অ্যায়সি’, ‘ফিতুর’ গানের গীতিকার সাওয়ানন্দ কিরকিরে বলেন, ‘আমার জন্য এটা লেখার ভালো সময় না। লেখার চেষ্টা করছি। কিন্তু মনে যখন কোনো ভয় থাকে না, তখনই লেখা সম্ভব। এখন মনে অনেক কিছু ঘুরপাক খাচ্ছে। নতুন কিছু লিখছি না। তবে কোনো গল্প যদি মস্তিষ্কে আসার থাকে, আসবে।’