নারায়ণগঞ্জের শ্যামল স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে প্রবাসী সাংবাদিক নির্ঝর মজুমদারের। সেই কথোপকথনের কিছু অংশ তার অফিসিয়াল ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, স্যার প্রচণ্ড অসুস্থ, আমাকে চেনেন না দেখে প্রথমে শিক্ষক সুলভ গাম্ভীর্য প্রকাশ করলেন। অসুস্থ অবস্থায় প্রায় ২৬ মিনিট কথা বললেন আমার সাথে।
আমি উনাকে কোন প্রশ্ন করিনি। সব হারানো একজন মানুষের কাছে আসলে সাংবাদিক সুলভ কোন প্রশ্ন করা যায় না। স্যার এই বিষয়ে কারো কাছে কোন ধরণের মন্তব্য করেননি, করবেনও না। শুধু নিশ্চিত করলেন, ক্ষুদ্র কারণে উনার ব্যপারে অনেকের বিদ্বেষ। এত বড় শাস্তি তিনি পাবেন, সেটা তিনি ভাবেন নি। নিজের ক্ষোভের কথা জানালেও বিদ্বেষ প্রকাশ করেননি কারো ব্যপারে।
আমি বিদেশে থাকি শুনে একটি প্রশ্ন তিনি করেছিলেন, ‘বিশ্বের অন্য কোন দেশে সংখ্যালঘু শব্দটি ব্যবহার করা হয় না। শুধু বাংলাদেশেই কেন হয়?”। জন্মসূত্রে একজন নাগরিকের তো রাষ্ট্রের সকল সুবিধা পাওয়ার কথা, সেটা কেন হয় না, সেই প্রশ্ন তিনি রেখেছিলেন।
নির্ঝর মজুমদার আরো লিখেন, পত্রিকাতে লেখালেখি করা, বা এই ধরণের এ্যাক্টিটিভিজমের ফলাফল কি হয়, সেটা তিনি জানতে চেয়েছেন, উত্তর দিতে পারিনি। এর আগে দেশের নানান জায়গায় এই ধরণের ঘটনাতে কারো শাস্তি হয়নি, এইবারেও হবে বলে তিনি আসলে আশা করেন না, এবং উনার ধারনা যৌক্তিক।
কারো কাছে উনার কোন দাবি নেই, কোন চাওয়া নেই। খেদ প্রকাশ করলেন, এত মানুষ এত কথা বলছে, কিন্তু কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়ে কোথাও প্রতিবাদ করছেন না দেখে। আসলেই তো, কোন প্রতিবাদ নেই। কেন?? শেষে তিনি শুধু একটি কথাই বলেছেন, যা করছি, সেটা যাতে অব্যাহত রাখি আমরা। আশীর্বাদ করেই ফোনটা রাখলেন।
(যা বললাম, সেটা কথোপকথনের সারাংশ মাত্র। আমি নিজের কোন মতামত এতে দেইনি। ব্যক্তিগত ভাবে আমার ধারনা, এই শিক্ষাগুরুর কাছে সারা দেশের করজোড়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত। উনাকে চাকরীচ্যুত করা হয়েছে, সেখানে সসম্মানে উনাকে বহাল করার পাশাপাশি ঘটনার সাথে জড়িত প্রতিটা লোককে কানে ধরে বাংলাদেশ ঘোরানো উচিত।
স্থানীয় মসজিদের ইমামের ভাষ্যমতে ঘটনার সময়ে তিনি মসজিদে ছিলেন না, এবং যারা মাইক ব্যবহার করেছিল, তাদের উনি চিনেন না। একই ভাষ্য অনেকেই দেখেছেন একই স্কুলের ধর্ম শিক্ষক এর কাছে। সম্পূর্ণ ব্যপারটি আগের অনেক ঘটনার মতই, সত্যতার লেশমাত্র নেই।)