চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমি ফাইনালের প্রথম লেগে ভিয়ারিয়ালকে ২-০ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে উনাই এমেরির শিষ্যদের চাপে রেখে যেভাবে একপেশে ম্যাচ খেলেছে লিভারপুল তাতে আরও এক গোল বেশি না হওয়ায় আক্ষেপ রয়েছে ইয়ুর্গেন ক্লপের।
প্রথমার্ধে গোল শূন্য ড্র থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ থেকে ৫৫ মিনিটে দুই গোল করে লিভারপুল। শেষ পর্যন্ত আর গোল না হলে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল। তবে অফসাইডের বাধায় দুটি গোল বাতিল হওয়া ছাড়াও গোল পোস্টে বাধা পেয়ে লিড না বাড়ায় ম্যাচ শেষে আফসোসের কারণ ক্লপের।
‘প্রথমার্ধে গোল না পেলেও আমরা দারুণ খেলেছিলাম। ভিয়ারিয়াল আমাদের হুমকির কারণ হতে পারত তবে আমরা তাদের ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। ২-০ বিপদজ্জনক স্কোর। কেবল অর্ধেক সময় পেরিয়েছে। দ্বিতীয় লেগ অন্যরকম হবে। আমরা ভিয়ারিয়ালকে তাদের কোচের জন্য লড়তে দেখেছি তারা নিশ্চয় ফাইনালে যেতে লড়াই করবে।’
ম্যাচের ৫৩ মিনিটে থিয়াগো আলকানতারা পর ৫৫ মিনিটে সাদিও মানে গোল করে মৌসুমে ২০তম গোল পূরণ হয় তার। পেয়েছেন আফ্রিকান কাপ অব নেশন্স জয়ের স্বাদ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতলে থাকবেন ব্যালন ডি’অর জয়ের রেসেও।
‘মানে অসাধারণ মৌসুম কাটাচ্ছে। সে বিশ্বমানের কিন্তু ব্যালন ডি’অর জেতার জন্য আপনাকে ট্রফি জিততে হবে। যদি না আপনি মেসি কিংবা রোনালদো হন।’
অ্যানফিল্ডে দুই গোল হজম করেও এখনো দারুণ কিছু করে দেখার অপেক্ষায় আছেন এমেরি। রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বন করে লিভারপুলকে আটকে রাখায় প্রধান কাজ ছিল তার দলের। তাই গোল ব্যবধান বড় না হওয়ায় হতাশ নন তিনিও।
‘জিততে ও নিয়ন্ত্রণ নিতে চেয়েছিলাম তবে লিভারপুল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ছিল। দ্বিতীয় লেগে সুযোগ থাকায় লিভারপুলকে রক্ষণাত্মক ভাবে প্রতিরোধ করতে চেয়েছি। আমরা তা পেরেছিও। আমাদের মাঠে ভিন্ন কিছু হবে। অনেক কিছু করে দেখানোর সুযোগ আছে।’
‘ম্যাচে লিভারপুল ফেভারিট ছিল। এমন কিছু মুহূর্ত আছে, যখন হার বরণ করে নিতে হয়। ম্যাচে ২-০ তে পরাজয়ের চেয়ে ভাল কিছু পাওয়ার যোগ্য ছিলাম না আমরা। আমাদের বুঝাতে হবে হোম আলাদা। সেখানে আমরা যেভাবে চাই সেভাবেই খেলি। আমাদের এখনো ৯০ মিনিট হাতে আছে ভিন্ন গল্প লেখার চেষ্টা করব।’
আগামী চৌঠা মে মাদ্রিগালে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ফের মুখোমুখি হবে দু-দল।