ইডেনে ২২ নভেম্বর বাংলাদেশ-ভারতের সম্ভাব্য দিন-রাতের টেস্ট আয়োজন নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। ইতিমধ্যেই ক্রিকেটের নন্দনকাননে গোলাপি বলে ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। বিসিবি এটি নিয়ে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে একমত হবে বলে প্রত্যাশায় দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি।
তবে ইডেনে দিন-রাতের টেস্ট আয়োজনের আগে ভারতীয় বোর্ডকে ভাবাচ্ছে গোলাপি বল! বলের গুণগত মান ও গোলাপি বলের সরবরাহ নিয়ে চিন্তিত বিসিসিআই। তার উপর ভারতের মাটিতে এখনো গোলাপি বলে কোনো ম্যাচ হয়নি।
বিদেশে গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্ট আয়োজন হলেও ভারতের মাটিতে এখনো এই বলে আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি। ফলে ভারতের স্পিন সহায়ক উইকেটে এই বল কেমন আচরণ করবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে!
টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাতের বেলায় লাইটের আলোতে খেলার সময় বলের পলিশ উঠে যাওয়ার পর, বল দেখার ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের কী কী সমস্যা তৈরি হতে পারে সেটা নিয়েও ভাবছে ভারতীয় বোর্ড। সেজন্যই ভালো কোয়ালিটির গোলাপি বল ব্যবহার করা নিয়ে শুরু থেকেই উঠে পড়ে লেগেছে বিসিসিআই।
দেশের মাটিতে প্রথম দিন-রাতের ম্যাচে গোলাপি বল নিয়ে ক্রিকেটারদের যেন কোনো অভিযোগ না থাকে, সেটাই প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য বোর্ডের নতুন সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এবং তার সহকর্মীদের।
ইডেন ম্যাচের আগে ভালো কোয়ালিটির গোলাপি বল সরবরাহ করাও এখন বিসিসিআই’র কাছে সবচেয়ে বড় ভাবনা। পাঁচদিনের ম্যাচ ও তার আগে প্রস্তুতির জন্য ২৪টি ভালো গুণসম্পন্ন এবং মানের গোলাপি বলের ব্যবস্থা করতে ব্যস্ত বোর্ডটি।
বলের গুণমান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ভারতে ঘয়োরা ক্রিকেটে অতীতে গোলাপি বল ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৬ সালে ইডেনে দিলীপ ট্রফির দিন-রাতের ম্যাচ হয়েছিল। ঘরোয়ায় গোলাপি বল হিসেবে এসজি’র পাশাপাশি ডিউক বলও ব্যবহার করা হয়েছিল। ক্রিকেটারদের বড় অংশের অভিযোগ, ‘ভারতের উইকেটের চরিত্র যেহেতু ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার থেকে রুক্ষ, সেকারণে এই উইকেটে ম্যাচের প্রথম ২০-৩০ ওভার পরই বলের আকার ও রঙ পরিবর্তন হয়ে যায়।’
৩ নভেম্বর দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-ভারতের টি-টুয়েন্টি সিরিজ। ৭ ও ১০ নভেম্বর বাকি দুই ম্যাচ। পরে ১৪ নভেম্বর ইন্দোরে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। ২২ নভেম্বর কলকাতায় শুরু সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এটিই দিবা-রাত্রির টেস্ট করার আলোচনা চলছে।