ফ্রি-কিক থেকে ক্যারিয়ারে ৫২টি গোল করে ফেলেছেন লিও মেসি। গত মৌসুমে লা লিগায় ৪১টা ফ্রি-কিক নিয়ে গোল করেছিলেন ৬টিতে। আর এ বার ১২টার মধ্যে চারটিতে গোল করে ফেলেছেন। উন্নতি চোখে লাগার মতো!
কীভাবে সম্ভব হল এই উন্নতি? মেসি জানিয়েছেন, গোলকিপারদের গতিবিধি ফলো করেই সফল তিনি। লা লিগার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সাক্ষাতকার দিতে গিয়ে মেসির মন্তব্য, ‘আমি ফ্রি-কিক আরও বেশি করে স্টাডি করতে শুরু করি। খেয়াল করতাম গোলকিপার কী করে মুভ করে। দেখতাম, বল মারার আগেই গোলকিপার মুভ করে কি না। তার সঙ্গে দেখতাম, কোথায় ওয়াল তৈরি করছে। অথবা, ওয়াল অনুযায়ী নিজে মুভ করছে কি না।’
সঙ্গে মেসি জুড়েন, ‘সত্যিটা হল সব কিছুই হল পরিশ্রম এবং ট্রেনিং। আমি আরও বেশি ট্রেনিং করেই নিজেকে উন্নত করছি।’
ফ্রি-কিকে উন্নতি করার পাশাপাশি গোলের খিদেও যেন বেড়ে গেছে আর্জেন্টাইন তারকার। লা লিগায় তেলমো জারার সর্বোচ্চ ২৫১ গোলের রেকর্ড মেসি ভেঙে দিয়েছিলেন ২০১৪ সালেই। এখন তিনি ৪৩২ গোলে দাঁড়িয়ে। যে সংখ্যাটা আরও বাড়ছে। লা লিগার টপ স্কোরারের আসনে বসে থাকা দারুণ উপভোগ করেন মেসি। তার কথায়, ‘লা লিগায় টপ স্কোরার হওয়া আমার কাছে স্পেশ্যাল। আমার যেসব রেকর্ড আছে তার মধ্যে অন্যতম ভালো এই ব্যাপারটা।’
কিন্তু বার্সেলোনায় সিনিয়র ক্যারিয়ারে এক সময় গোলের জন্য বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছিল তাকে। সেভাবে গোল পাচ্ছিলেন না। সেই সময় সিনিয়র হিসেবে বার্সেলোনায় ছিলেন স্যামুয়েল ইতোও। ক্যামেরুনিয়ান তারকার কথা এখনো মনে রেখেছেন এলএম টেন।
তাকে নিয়ে মেসির বক্তব্য, ‘আমার মনে আছে, অনেকবার ইতো আমাকে বলেছিল- যে দিন তুমি গোল করতে শুরু করবে, সে দিনের পর দেখো…। এরপর যে দিন প্রথম গোল করলাম, তারপর থেকে অনেক গোল হতে থাকল। আর আমি গোল করা নিয়ে ফোকাস্ড থাকতাম না। বরং বেশি খেয়াল রাখতাম দলের খেলার দিকে।’
দলের খেলার আরও উন্নতি করতে গিয়েই মেসি গোলের সংখ্যা বাড়িয়ে ফেলেছেন। নতুন বছরে মেসি আরও গোলের আশায়। তার ভক্তরাও।
মেসি যখন এসব কথা বলছেন, তখন দেখা যাচ্ছে বার্সেলোনার সঙ্গে নেইমার তার সম্পর্ক শেষ না হওয়া সোপ-অপেরা। ব্রাজিলিয়ান এবং তার সাবেক সতীর্থদের মধ্যে নাটক হোক বা প্রেমের কোনো অভিব্যক্তি, তা নিয়ে প্রতিদিনই একটি নতুন পর্ব লেখা হচ্ছে।
লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে তার সঙ্গী সোফিয়া বালবির প্রতিশ্রুতি চুক্তির নবায়ন অনুষ্ঠানে আবার এক হওয়ার সুযোগ পান নেইমার। সুযোগটা মোটেও মিস করেননি তিনি। সঙ্গে যোগ দেন মেসিও। সে জন্য আবার উরুগুয়েতে গিয়েছিলেন নেইমার। তার বার্সেলোনায় ফেরা নিয়ে ঝামেলা চললেও সেটা মোটেও বন্ধুত্বের মিলনে বাধা হতে পারছে না।