গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আজও অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
গত বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসানিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
গত বুধবার রাতে ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে আন্দোলনের ডাক দেন ৪ জন শিক্ষার্থী। যদিও এ ১৪ দফা দাবির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি খোন্দকার নাসির উদ্দিন আহম্মেদের নাম ছিল না।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৪ দফা দাবি মেনে নেওয়ার পর, বৃহস্পতিবার সকালে ভিসির অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ,সমাবেশ ও অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলন চলার সময় শনিবার দুপুরে কয়েক-শত শিক্ষার্থী বিশ্বদ্যালয়ের দিকে যাওয়ার সময় পথে তাদেরকে মারপিট করে আহত করা হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আইন বিভাগের এক ছাত্র বলেন, ‘যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেন ভিসির পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না। এ কষ্ট আমাদের কষ্ট মনে হচ্ছে না।’
অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সহকারী প্রক্টর পদ থেকে অব্যাহতি নেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হুমায়ুন কবির। এছাড়াও উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্য জাপান ভ্রমণ বাতিল করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন গণিত বিভাগের শিক্ষক মিনারুল হক।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে সমর্থন করে সংহতি প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও দ্যা ডেইলি সানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা আন্দোলন শুরু করেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকেই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভিসি পতনের আন্দোলন শুরু করে এবং শনিবার দুপুরে আন্দোলনে যোগ দিতে আসা শিক্ষার্থীদের উপর পাঁচস্থানে হামলার ঘটনা ঘটে।