ভারতে ৫০০ ও ১০০০ টাকার রুপি নিষিদ্ধ করার পরে কেউ কেউ যেমন খুশি হচ্ছেন তেমনই বিপদেও পড়েছেন অনেকে। এই যেমন সেখানকার গৃহিনীদের কথাই ধরা যাক। বছরের পর বছর ধরে জমানো টাকাগুলো নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার আগেই সেগুলো বদলাতে ব্যাংকে লাইন দিচ্ছেন তারা। আর নিজের গোপন সেভিংস সবার সামনে চলে আসায় যারপরনাই বিরক্তও হচ্ছেন অনেকে।
বেশিরভাগ ভারতীয় গৃহিনীরই বছরের পর বছর ধরে টাকা সংগ্রহ করার অভ্যাস থাকে। আর এসবের বেশিরভাগই তারা করেন স্বামীর আয়ের টাকা থেকেই। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গোপনে রাখা টাকাগুলো নিয়ে এখন যেন অনেকটাই বিপাকে পড়েছেন তারা।
দিল্লীর বাসিন্দা ইন্দু মেহেরা বলেন, বছরের পর বছর জুড়ে তিনি এই টাকাগুলো সঞ্চয় করেছেন কোনো বিপদের আশঙ্কা চিন্তা করে। কখনো বাবা-মার কাছ থেকে টাকা উপহার পেয়েছেন আবার কখনো স্বামীর কাছ থেকেও পেয়েছেন উপহার। সেসবই তিনি এত এতদিন জমিয়ে রেখেছিলেন, যেটা স্বামী ও সন্তান কেউই জানতো না। এখন তো এই টাকা বদলানোর ধাক্কায় সবাই সেটা জেনে গেলো। কালো টাকা নিয়ন্ত্রণে মোদির এই সিদ্ধান্তকে তাই স্বাগত জানালেও ইন্দুর দাবি, কিছুদিন আগে নোটিশ দিলে ভালো হতো। তাহলে অন্তত লুকিয়েই টাকাটা বদলে নিতে পারতাম। তাহলে অন্তত গোপন সেভিংসটা গোপনই থাকতো।
একই ভাবে আরেক গৃহিনী প্রিয়া রোহানের সেভিংসের কথাও জানতেন না তার স্বামী। খরচ করে ফেলবে এই ভয়েই কখনো স্বামীকে নিজের সেভিংসের কথা জানাননি প্রিয়া। দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই ছিলো এই সেভিংস। জানার পর খুব হেসেছিলো স্বামী। দুর্নীতি বা কালোটাকার বিষয়ে আমি জানিনা, আমি শুধু রাগান্বিত এই জন্য যে, আমার সেভিংসটা নষ্ট হয়ে গেলো-এভাবেই নিজের ক্ষোভের কথা জানান প্রিয়া।