রাজধানীর বনানী এলাকায় দুই তরুণীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের গুলশানের বাসায় পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের ধারণা, সে পালিয়ে অন্য কোথাও অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সাফাতের গুলশান-২ এর ৬২ নম্বর রোডের ২ নম্বর বাসায় পুলিশ প্রবেশ করে। সাফাত আহমেদ আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহেমেদের ছেলে।
বনানী থানার পরিদর্শক আব্দুল মতিন গণমাধ্যমকে জানান, মামলার সব আসামির বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে। সকালে সাফাতের বাসায়ও অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। সে কোথাও পালিয়ে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের (ডিবি) উপ-কমিশনার (ডিসি, উত্তর) শেখ নাজমুল আলম বলেন, ওই আসমীদের গ্রেফতার করতে ডিবির কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের ক্রাইম টিমের পাশাপাশি আমরাও কাজ করছি।
পুলিশ জানিয়েছে আসামিরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, যত বড় মাপেরই হোক না কেন, তাদের গ্রেফতার করা হবে। ইতিমধ্যে তাদের শনাক্ত করাও হয়েছে।
গত ২৮ মার্চ রাতে বার্থডে পার্টির নাম করে দুই তরুণীকে বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর তাদের পূর্বপরিচিত সাফাত ও নাঈম হোটেলের একটি কক্ষে রাতভর তাদের আটকে রেখে মারধর করে এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
অভিযুক্ত দু্ই তরুণের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়িচালকও ছিল। তাদের একজন ঘটনাটি ভিডিও করে রাখে। এরপর ওই দুই তরুণী পরিবারের মাধ্যমে ঘটনাটি পুলিশকে জানান। প্রথমে পুলিশ মামলা নিতে না চাইলেও গত শনিবার বনানী থানা পুলিশ মামলা নিতে বাধ্য হয়।
মামলার পর দুই তরুণীকে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেওয়া হয়। এরপর রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়। এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের ৫ সদস্যের একটি তদন্ত টিমও গঠন করা হয়।
এ ঘটনায় আগামী ২৯ মে আদালত ফরেনসিক পরীক্ষার প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে।