হাইকোর্টের রায়ে আট সপ্তাহের স্থিতাবস্থার আদেশ আসায় গুলশান–২ নম্বরের বাড়িটি আপাতত সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদীর দখলেই থাকাবে।
সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা ওই বাড়িটিকে ‘পরিত্যক্ত সম্পত্তি’ বলে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে গত ১৯ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট।
এসংক্রান্ত রিটের রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। তবে হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে সালাম মুর্শেদীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের চেম্বার আদালত আট সপ্তাহের স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাসকো) বজায় রাখতে আদেশ দেন। ফলে আইনী বিরোধে থাকা ওই বাড়িটি আপাতত সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদীর দখলেই থাকবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
আদালতে আজ সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। আর রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক।
রাজধানীর গুলশান-২-এ অবস্থিত পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি দখলে রাখার অভিযোগ তুলে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক (বর্তমানে সংসদ সদস্য)। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে বাড়ি-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। রুলে বাড়িটি বেআইনিভাবে দখলে রাখার অভিযোগে আবদুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। পরবর্তীতে রাজউক এই বাড়ি সংক্রান্ত নথি হাইকোর্টে দাখিল করে। পরে বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক আদেশে প্রশ্ন ওঠা ওই ভূমি বা প্লটের চেইন অব টাইটেল (মালিকানা হস্তান্তরের পরম্পরা), দখল-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি ও কাগজপত্র যুক্ত করে পক্ষগুলোকে হলফনামা (এফিডেভিট ইন অপজিশন) দাখিল করতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে অনুসন্ধান প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় নথি ও কাগজপত্র যুক্ত করে দুদককে হলফনামা দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।