ফ্রাঙ্ক রাইকার্ড আমলে বার্সেলোনার মূল দলে অভিষেক লিওনেল মেসির। তবে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের আসল প্রতিভা ফুটে উঠেছিল পেপ গার্দিওলা আমলে, এমন বলছেন আয়াক্সের বর্তমান কোচ এরিক টেন হাগ। ডাচ কোচের মতে, সাবেক কাতালান গুরুর হাত ধরেই একজন দল নিবেদিত খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মহাতারকা।
২০০৮ সালে বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়ে দলের চেহারাই পাল্টে দিয়েছিলেন কাতালানদের সাবেক তারকা গার্দিওলা। তার হাত ধরে ইউরোপিয়ান অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক দল হয়ে ওঠে বার্সা। চার মৌসুম দায়িত্বে ছিলেন গার্দিওলা, সময়টাতে তিন লা লিগা ও দুটি করে কোপা ডেল রে এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতে মেসিরা।
গার্দিওলার সময়ে ফুটবলে উত্থান ঘটে মেসি নামের এক ফুটবল জাদুকরের। ২০০৯ সালে প্রথম ব্যালন ডি’অর জেতার পর টানা চারবার ইউরোপের সেরা ফুটবলারের খেতাব শোকেসে আনেন আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর।
বার্সায় গার্দিওলার শেষ মৌসুমে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যান মেসি। ২০১১-১২ মৌসুমে মাত্র ৩৭ ম্যাচে ৫০ গোলের দারুণ এক মাইলফলক গড়েন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
গার্দিওলা দায়িত্ব ছাড়ার পরের আট বছরে মাত্র একবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে বার্সা। মেসিও ব্যালন ডি’অর জিতেছেন আর মাত্র দুইবার, সেটাও কয়েক মৌসুমের বিরতিতে।
টেন হ্যাগ বিশ্বাস করেন গার্দিওলার হাত ধরেই একজন দল নিবেদিত প্রাণ খেলোয়াড় হিসেবে বেড়ে উঠেছেন মেসি। গার্দিওলার কাছ থেকে যা শিখেছেন, অন্য কোচদের অধীনে তারই প্রয়োগ করেছেন তিনি।
‘মেসি একজন নেতা এবং সে দলের জন্য খেলে ও ফল বের করে আনে। গার্দিওলার আমলে যতটা ভালো ছিল অন্যকারো অধীনে তাকে এতটা ভালো দেখা যায়নি। বার্সেলোনাও শেষ কয়েক বছরে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় জেতেনি।’
‘মেসি এখনো নিজের সেরাটা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু মাঝে মাঝে তাকে নিজের সর্বনিম্ন পর্যায়েও দেখা যায়। গার্দিওলার সময়ে কখনোই এমনটা হয়নি। গার্দিওলার সাহস ছিল, নিত্যনতুন কৌশল আর উদ্ভাবনে তিনি অনন্য।’
২০১৩-১৪ মৌসুমে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্ব নেন গার্দিওলা। বাভারিয়ানদের ডাগআউটে তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান টেন হাগও। ২০১৫ সালে উটরাখতের দায়িত্ব পান টেন হাগ। সেবছর ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির দায়িত্ব নেন গার্দিওলা। এখনও আছেন সেখানেই।