পরামর্শ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের দৃষ্টিতে লং টার্ম ইভাল্যুয়েশন (এলটিই) নেটওয়ার্ক অবকাঠামো নির্মাণে অবদানের জন্য শীর্ষে অবস্থান করছে প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। গার্টনারের ওই গবেষণা প্রতিবেদনে পুরোপুরি এলটিই অবকাঠামো নির্মাণে ভেন্ডরদের লক্ষ্য ও দক্ষতার বিষয়টি বিবেচনায় করা হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গার্টনারের এই প্রতিবেদনের বিষয়ে জানায় হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ে জানায়, গার্টনারের বিশ্লেষণ অনুযায়ী দ্রুত হুয়াওয়ের মার্কেট শেয়ার বৃদ্ধি, বড় আকারে বাণিজ্যিক নেটওয়ার্কের প্রসার এবং নতুন নতুন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার পণ্য উদ্ভাবনের ফলে প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ে এগিয়ে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান টেকনিক্যাল কর্মকর্তা (সিটিও) জেরি ওয়াং বলেন, ‘‘হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, ফাইভজি’র যুগে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিতে এলটিই সল্যুশন এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী ডেটা ব্যবহার বেড়েছে এবং নেটওয়ার্ক ট্রাফিকও বাড়বে। ফাইভজির যুগে এলটিই সল্যুশনই মৌলিক স্ট্যান্ডার্ড। সাম্প্রতিক সময়ে, এলটিই’র বিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে হুয়াওয়ে ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং অপারেটরদের যেকোনো সমস্যা মোকাবিলায় সহায়তা দিয়ে আসছে। ফাইভজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, উদ্বোবনী সেবার পরীক্ষা করা এবং নতুন নতুন ব্যবসায়িক ধারণাগুলোকে পরিচর্চা করতে বিদ্যমান ৪জি-৪.৫জি প্রযুক্তির উন্নয়নে অপারেটরগুলোকে ব্যাপকভাবে সহায়তা দিয়ে আসছে হুয়াওয়ে। অগ্রসরমান ফাইভজি ব্যবসা দাঁড় করাতে হুয়াওয়ে অপারেটরদের সহায়তা করতে চায় এবং এই খাতে বিনিয়োগকারীদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে চায়।’
হুয়াওয়ে আরও জানায়, ফাইভজির যুগে যাওয়ার আগে অপারেটরদের অবকাঠামো, ইকোসিস্টেম, ব্যবসায়িক মডেল, ব্যবসা পরিচালনার দক্ষতা এবং অন্যান্য বিষয়ে সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকতে হবে। হুয়াওয়ের অ্যাডভান্সড এলটিই নেটওয়ার্ক অবকাঠামো ৪টি৪আর, ৪টি৬এস, ৮টি৮আর এবং টিএম৯ এর মতো ফিচার তৈরিতে এবং এলটিই নেটওয়ার্কের সক্ষমতা উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে।
‘এ ধরনের নেটওয়ার্ক, ব্যবসার মডেল বর্তমান যুগের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল সেবার প্রয়োজনীয়তা পূরণের পাশাপাশি ফাইভজি যুগের ব্যবসায়িক সফলতার ভিত্তি স্থাপন করতে পারে। হুয়াওয়ে সম্প্রতি ফাইভজিভিত্তিক সিঙ্গেল-র্যান প্রো সল্যুশন এনেছে যাতে রয়েছে ৩টি উপাদান: ফাইভজি অল-ইন-ওয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার, মোবাইল ক্লাউড আর্কিটেকচার এবং আটোমেশন এর সক্ষমতা।’