রোহিঙ্গা সংকটের এক বছর পার হয়েছে। এমন সংকটে দীর্ঘ সময় জুড়ে উদার প্রতিক্রিয়া দেখানো এবং বিপুল পরিমাণ গৃহহীন মানুষকে জায়গা দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে অস্ট্রেলিয়া।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশন জানায়, রোহিঙ্গা সংকট আমাদের অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মানবিক জরুরি অবস্থা। সেখানে লাখ লাখ মানুষ মানবিক সংকটে পড়েছে। বেশিরভাগ নারী ও শিশু যৌন ও লিঙ্গগত সহিংসতার শিকার হয়েছে। তারা নিজেদের পরিবার হারিয়েছে এবং নূন্যতম মানবিক চাহিদাও পূরণ করতে পারেনি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়া স্থিরমনা। ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারের প্রাপ্তির দাবি জানিয়ে আসছে দেশটি। অপরাধীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আসতে হবে। সেজন্য জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন এবং তাদের স্বতন্ত্র তদন্তে সমর্থন জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
সেপ্টেম্বরে হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলে উপস্থাপিত ফাইনাল রিপোর্টের আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে জানিয়েছে তারা।
এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় মিয়ানমারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানানো হয় বিবৃতিতে। মিয়ানমার কমিশন অব ইনকোয়ারিকেও স্বাগত জানান তারা এবং ইউএন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনে পাওয়া তথ্যে মিয়ানমারকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানায়।
রাখাইনে জাতিসংঘের এজেন্সিগুলোকে প্রবেশের অধিকার দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানায় অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া কফি আনানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাখাইন রাজ্যে তার পরিচালিত অ্যাডভাইজরি কমিশনের পরামর্শগুলো মেনে চলার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।
অস্ট্রেলিয়ার বিবৃতির পাশাপাশি কানাডার ক্যালগেরিতে রোহিঙ্গা নির্যাতন ও গণহত্যা দিবস পালন করেছে প্রবাসী বাঙ্গালীরা। ক্যালগেরির সিটি হলের সামনে সাইনবোর্ড, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডসহ রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় তারা।
এসময় প্রবাসী বাঙালিদের সাথে যোগ দেয় কানাডার মানবাধিকার সংগঠন ‘রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্কস’। প্রতিষ্ঠানটি কানাডার টরোন্টো, মন্ট্রিয়ল, ভ্যানকুবার, উইনিপ্যাগসহ কয়েক শহরে একসাথে এই দিবস পালন করে।