পরিচয় গোপন করে রোহিঙ্গারা যাতে বাংলাদেশের নাগরিক হতে না পারে সেজন্য গত এক বছর ধরে কক্সবাজার জেলায় জন্মনিবন্ধন ও চারিত্রিক সনদ প্রদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে এসব সেবা চালু না থাকায় শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়াসহ নানা ধরনের অসুবিধায় পড়ছেন স্থানীয়রা।
মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে সাগরে ভেসে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে সরকার। সরকারি হিসাবে বর্তমানে উখিয়ার ৩০টি ক্যাম্পে বাস করছে ১২ লাখ রোহিঙ্গা, তবে বেসরকারি হিসাব বলছে ১৪ লাখ।
সাড়ে ৬ হাজার একর বনভূমি কেটে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি নানা ভোগান্তির সঙ্গে আপোষ করে দিন পার করছে সেখানকার সাধারণ মানুষ। গত এক বছর ধরে ইউনিয়ন সেবা বঞ্চিত স্থানীয় জনগণ তাদের সেবা ফেরত চাইছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানালেন, কেবল জন্মনিবন্ধনই নয় কক্সবাজার জেলায় বন্ধ আছে চারিত্রিক সনদ প্রদানও। এতে একদিকে যেমন জনদুর্ভোগ বাড়ছে তেমনি জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে।
তবে শিগগিরই এই কার্যক্রম পুনরায় চালুর আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
৩ লাখ স্থানীয় অধিবাসীর উখিয়ায় এখন রোহিঙ্গা প্রায় ১৪ লাখ, জনসংখ্যার এই বাড়তি চাপ মেটাতে রাস্তা ঘাট বা অবকাঠোমো বাড়েনি। কিন্তু বেড়েছে দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: