চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

গণমাধ্যম কর্মীদের সাপ্তাহিক কর্মঘন্টা ৩৬ ঘণ্টা

গণমাধ্যম কর্মীদের সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা ৩৬ ঘণ্টা করাসহ নারী গণমাধ্যমকর্মীদের ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান রেখে গণমাধ্যম কর্মী আইন ২০১৮’র খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। 

গণমাধ্যম কর্মী আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে কর্মরত সবাইকে গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে গণ্য করা হবে। আর সকল গণমাধ্যমেই আসবে ওয়েজবোর্ডের আওতায়। প্রতিসপ্তাহে গণমাধ্যম কর্মীদের কর্মঘন্টা হবে ৩৬ ঘণ্টা। 

খসড়া আইনে নৈর্বিত্তিক ছুটি ১০ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিনে বাড়ানো হয়েছে। আর অর্জিত ছুটি ৬০ দিন থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১শ’দিন। উৎসব ছুটি থাকবে একসঙ্গে ১০দিন পর্যন্ত। ৩ বছর পরপর গণমাধ্যম কর্মীরা ৩০ দিনের শান্তি বিনোদন ছুটি ভোগ করতে পারবে। 

গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য একটি স্বাধীন ওয়েজবোর্ড গঠনের কথাও বলা হয়েছে আইনে। যেটা পরিচিতি পাবে ‘গণমাধ্যম কর্মী ওয়েজবোর্ড’ নামে। তাতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল, পত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশনসহ সকল গণমাধ্যমকে নিয়ে আসা হবে। এটা শ্রম আইনের আওতায় থাকবে না। সাংবাদিকরা শ্রমিক হিসেবে নয়, গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে পরিচিত হবে।

এছাড়াও গণমাধ্যমকর্মী তাদের চাকরির মেয়াদের ১৮ ভাগের ১ ভাগ পূর্ণ বেতনে অসুস্থতাজনিত ছুটি পাবে। প্রত্যেক গণমাধ্যমকর্মী স্বাস্থ্যবীমা সুবিধা পাবে। আইনে, নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।

সরকার এ আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে গণমাধ্যমের সাথে জড়িত গণমাধ্যমকর্মী ও কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণের জন্য প্রজ্ঞাপনমূলে গণমাধ্যমকর্মী ওয়েজবোর্ড গঠন করবে। সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বেতনের নিম্নতর হার সংশ্লিষ্ট সকল গণমাধ্যম মালিককে অবশ্যই পালন করতে হবে।

যদি কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের কাছে কোনো গণমাধ্যমকর্মীর বকেয়া পাওনা থাকে তাহলে ওই গণমাধ্যমকর্মী নিজে অথবা তার লিখিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি কিংবা মৃত গণমাধ্যমকর্মীর ক্ষেত্রে তার পরিবারের কোনো সদস্য আদালতে মামলা দায়ের করতে পারবে।

গণমাধ্যম মালিক গণমাধ্যম কর্মী আইন না মানলে ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকার অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এক্ষেত্রে যে কেউ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন।