জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নিতে গণভবনে পৌঁছেছে সংগঠনটির ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার বিকালে ড. কামালের বাসভবন থেকে রওনা হয়ে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তারা গণভবন পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের ২৩ জনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তারা সংলাপে বসবেন।
এর আগে বিকাল ৪টার দিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের বাসায় বৈঠক করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন।
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নেবেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আরো আছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সহ-সভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহ।
ঐক্যফ্রন্টের আরেক শরিক নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, এসএম আকরাম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসু’র সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আ ব ম মোস্তফা আমিন।
সোমবার হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে তাদের দল সংলাপে বসবে।
এর পরের দিন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে গণভবনে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠিও দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে জাতীয় নির্বাচনসহ ঘোষিত ৭ দফা দাবি ও ১১টি লক্ষ্য সম্বলিত একটি চিঠি রোববার আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে পৌঁছে দেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার কাছে দেয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে সংলাপের আহ্বান জানানো হয়।
গত ১৩ অক্টোবর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিসহ চারটি দলের সমন্বয়ে নতুন রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আত্মপ্রকাশ করে।