খুন-ধর্ষণের বিরুদ্ধে মনুষ্য-জাগরণের গান হিসেবে ‘এপিসেন্টার থ্রি’ ব্যান্ড রিলিজ করছে দোজখের গান।
গানটি ২০১৬ সালের মার্চ মাসে লেখা ও সুর করা। সে বছর মার্চ মাসে কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করার পর খুন করা হয়। তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের অভ্যন্তরে একটি ঝোপ থেকে। এই গান খুন-ধর্ষণের বিরুদ্ধে মনুষ্য-জাগরণের।
এটা ‘এপিসেন্টার থ্রি’ ব্যান্ডের প্রথম গান। তাদের প্রথম অ্যালবামের কাজও শেষ প্রায়। পুরো অ্যালবামের সব গান এক সাথে রিলিজ করা হবে ভেবে “দোজখের গান” এত দিন প্রকাশ করা হয় নি। এখন সারাদেশে ধর্ষণের সর্বগ্রাসী অপচ্ছায়া যেভাবে নেমে এসেছে এবং যেভাবে তার বিরুদ্ধে মানুষ রাস্তায় দাঁড়াতে শুরু করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই গানটা স্বতন্ত্রভাবে রিলিজ করছে ‘এপিসেন্টার থ্রি’ ব্যান্ড।
সেলিম রেজা নিউটনের কথা, সুর ও কণ্ঠে সঙ্গীতায়োজন করেছে তোয়াসীন এবং শুভ সুলতান।
সোনাটা অডিও প্রোডাকশন এণ্ড রেকর্ডিং স্টুডিও থেকে প্রকাশিত এ অ্যালবামের মিউজিক ভিডিওর চিত্রশিল্পী অর্পনা কর।
দোজখের গান (লিরিক):
রাত্রি আন্ধার, বন্দুকের ঝোপে
টর্চলাইটে জ্বলা ত্রস্ত চোখ
দেখছে মেয়েটার, একলা মেয়েটার,
ওড়না-ছেঁড়া-থ্যাঁতা দেহে দোজখ।
রাস্তাটার ধারে নিহত চোখ জুড়ে
অত্যাচার, ধর্ষণের দাগ;
রাষ্ট্র-রাক্ষস বলাৎকার করে
চলেছে সবকিছু— সর্বভাগ।
সময় দিঠিহীনা, অবশ মনোবীণা
বাজছে দিশাহারা সব তারে
“বিচার”, “ফাঁসি চাই” শুনব আর কত?
কী চাই, কার কাছে, করজোড়ে?
বরং ঠিক করো, তুমি কী করবে
ঠেকাতে ধর্ষণ, খুন-তৃষা।
নাকি এখনও বসে, অপেক্ষার বশে
থাকবে বড়ো হুজুরের আশায়?
ততক্ষণ ধরে অন্ধকার জুড়ে
হত ও বিক্ষত তনুর চোখ
দেখবে আমাদের ভীত ও বিব্রত
ভবিষ্যতহীন দেশে দোজখ।