জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতির আদালতে কেবলমাত্র অনুমতি পাওয়া আইনজীবীরাই অংশ নিবেন।
এর বাইরে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদেরও প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এই জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার পুরো সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকেই কোর্টের প্রতিটি প্রবেশপথ ও আদালত চত্বরের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যদের দেখা গেছে।
এছাড়াও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের সামনে এবং বার ভবন থেকে মূল কোর্ট ভবনের গ্যাংওয়েতে নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মত। এর বাইরে আদালত অঙ্গনে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বাড়তি সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল আটটার পর থেকেই আর্চওয়ে এবং মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করে আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্টদের পরিচয়পত্র দেখে আদালত চত্বরে প্রবেশ করানো হচ্ছে।
গত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার এই জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে ২১০ মিনিটের ‘নজিরবিহীন’ হট্টগোল হয়। সেদিন একপর্যায়ে এজলাস ছেড়ে চলে যান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
আদালত কক্ষের ওই হট্টগোলের প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতির আদালত কক্ষে ৮টি সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এর বাইরে প্রায় সাড়ে তিনশো সিসি ক্যামেরায় পুরো সুপ্রিম কোর্ট মনিটরিং এর আওতায় রয়েছে।
খালেদা জিয়ার আজকের জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে মৎস্য ভবন ও শিক্ষা ভবনের মোড়সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য দায়িত্ব পালন করছে।