কুড়ি বছর আগের কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় রায় হয়েছে বৃহস্পতিবার। আর এ রায়ে ৫ বছরের জেল হয়েছে এই তারকার। যার ফলশ্রুতিতে কয়েদি হিসেবে একরাত জেলখানায় কাটালেন বলিউডের সুপারস্টার অভিনেতা সালমান খান।
বহুদিন ধরেই চলছিলো কৃষ্ণসার হত্যা মামলাটি। একই মামলায় আসামি ছিলেন সাইফ আলী খান, সোনালী বিন্দ্রে, টাবু ও নিলম কুঠরী। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন। কিন্তু হরিণ হত্যার দায়ে ফেঁসে গেলেন সালমান। যোধপুর আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার ৫ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন ভারতের তুমুল জনপ্রিয় এই নায়ক।
আদালতের নির্দেশেই বৃহস্পতিবারেই যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছিলো সালমানকে। যেখানে দাগি আসামিরা কারা বরণ করছেন। কয়েদি হিসেবে যোধপুর কারাগারে সালমানের নাম্বার ছিলো ১০৬।
যদিও শুক্রবার সকালেই তার জামিনের জন্য যোধপুর আদালতে হাজির হয়েছেন তার আইনজীবী। ৫১ পৃষ্ঠার জামিননামা নিয়ে এরইমধ্যে আদালতে চলছে শোনানি। এদিকে বাইরে বলিউডের মানুষেরা অপেক্ষায় আছেন সালমানের মুক্তির জন্য।
কুড়ি বছর আগে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে সালমানসহ আরো কয়েকজন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ গুলি করে হত্যা করেন। বিপন্ন এই প্রাণী মারা ভারতে নিষিদ্ধ। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৯(৫১) ধারায় বিচারক সালমানকে অপরাধী ঘোষণা করেন। বিশ বছর আগে বিরল প্রজাতির দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার দায়ে সালমানকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভারতের যোধপুর আদালত।