মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতার পর গত ২৫ আগস্ট থেকে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছে সাড়ে ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, খাবার, চিকিৎসা, স্যানিটেশন, শিক্ষাসহ সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ তাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিলেও রোহিঙ্গাদের অনেকেই নানা অপরাধে জড়িত।
ক্যাম্পের বাইরেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনেক রোহিঙ্গা। সব ধরনের সহায়তার পরও ক্যাম্প থেকে পালিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়তে মরিয়া অনেকে। এ পর্যন্ত অনেক রোহিঙ্গাকে আটক করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২১ অক্টোবর টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পে কবির আহম্মদ নামে এক এসআইকে পিটিয়ে আহত করে রোহিঙ্গারা। ২৭ অক্টোবর রামুর খুনিয়াপালংয়ে আব্দুল জব্বার নামে স্থানীয় এক বাঙালী যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে আরেক রোহিঙ্গা।
একই দিন বালুখালী ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের হামলায় ৪ জন নলকূপ শ্রমিক আহত হয়। সে সময় দেশীয় ২টি বন্দুক সহ ২ রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশ। ৩০ অক্টোবর ডাকাতির প্রস্তুতির সময় উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প এলাকার বাগান থেকে অস্ত্রসহ ৫ রোহিঙ্গাকে আটক করে র্যাব।