সরকার নির্ধারিত দামে পশুর চামড়া কেনার কথা বললেও সঠিক দাম পাচ্ছেন না বলে হতাশ মৌসুমী পাইকারি ব্যবসায়ীরা। গত ৩১ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে কম দামে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি তাদের।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম পড়ে যাওয়ায় এ শিল্প ধ্বংসের মুখে উল্লেখ করে চামড়া শিল্প বাঁচাতে সরকারের কাছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা চেয়েছেন ট্যানারি মালিকরা।
কোরবানির পর রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় প্রতি ঈদেই চামড়া বিক্রির জন্যে জড়ো হন মৌসুমী পাইকারি ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন, চামড়া কেনার লোক খুঁজে না পেয়ে একরকম বিপাকেই পড়েছেন তারা। অভিজ্ঞতা না থাকায় চামড়া কিনে বিপাকে পড়ে গেছেন অনেকে।
এবার এক লাখ টাকার গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে দুই তিনশো টাকায়। চামড়া বিক্রি করতে না পেরে অনেক স্থানে পড়ে থাকতে দেখা গেছে কোরবানির পশুর চামড়া। ওষুধ ও কেমিক্যালের দাম বেশি বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
লবণ ছিটানো না থাকলে ট্যানারি মালিকদের অনেকেই এবার কোরবানির পশুর চামড়া কিনছেন না। আন্তর্জাতিক বাজারে দরপতনকে দায়ী করছেন কেউ কেউ।
এ বছর ঢাকায় গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪৫ থেকে ৫০, ঢাকার বাইরে ৩৫ থেকে ৪০, খাসি ১৩ থেকে ১৫ এবং বকরির চামড়ার দাম ১৩ থেকে ১৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।