কোরবানির পশুর হাটে ভারতীয় গরুর কারণে প্রতি বছর ৫ লাখ দেশী গরু অবিক্রিত থেকে যায়। পরে বছরের বিভিন্ন সময় এ সব গরু কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন খামারিরা। এবার ভারতীয় গরু না আসলেও দেশে পর্যাপ্ত গরু রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
শুরুর দিকে শুধু হাল চাষের জন্য হলেও গত দেড় দশক ধরে কোরবানির পশুর হাটেও ভারতীয় গরু দেখা যাচ্ছে। দেশী গরুর তুলনায় দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় সহজেই বাজার দখলে নেয় এসব গরু। ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায় ছাগল, ভেড়ার পরিবর্তে ভারতীয় গরু কেনেন ক্রেতারা।
দেশের ৬ লাখ খামারে মোটাতাজা করা হচ্ছে ৩০ লাখ গরু। গৃহস্থালি পর্যায় থেকে বাজারে আসবে আরো ১০ লাখ গরু। কোরবানির ঈদে দেশে গরুর চাহিদা ৩৫ থেকে ৪০ লাখ। সে হিসেবে পর্যাপ্ত পশু থাকবে হাটগুলোতে। গরুর পাশাপাশি ১৪ লাখ মহিষ এবং প্রায় ৭০ লাখ ছাগল ভেড়াসহ প্রায় এক কোটি ১৫ লাখ গবাদি পশু কোরবানির পশুর হাটে থাকবে।