ছুটির দিন হোক, কিংবা কর্মব্যস্ত দিন; সড়কে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মিছিল এখন ‘স্বাভাবিক’ ঘটনা। এমন কোন দিন নেই যেদিন গণমাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর থাকে না। মানবসৃষ্ট এই দুর্যোগের সব খবর গণমাধ্যমে না এলেও শুক্রবার ছুটির দিনে ১১ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার খবর এসেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়: ফেনীর ছানুয়া, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, নাটোরের গুরুদাসপুর এবং মাদরীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ নারীসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন, ৪০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা-পুলিশ যা জানিয়েছেন, তার সারমর্ম হলো- ‘বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহনের চালকদের খামখেয়ালিপনা। তারা যদি আরও একটু সতর্ক হতেন তাহলে এসব দুর্ঘটনা প্রায় শূন্যের কোটায় থাকতো।’ কিন্তু পরিবহন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চালক এবং সহকারীদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ কিংবা দুর্ঘটনা রোধে কঠোর মনোভাব প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়টিও একেবারে নেই বললেই চলে। সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাতে সংশ্লিষ্টদের আরও বেশি ভূমিকা রাখা জরুরি বলে আমরা মনে করি। এছাড়া সড়কে চলাচল করা সাধারণ মানুষের মধ্যেও সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এই মিছিল দীর্ঘ হওয়া ছাড়া কমার কোন সম্ভাবনা নেই, যা কখনোই কাম্য নয়। সড়কে আর একটি মৃত্যুও নয়, এটাই আমাদের কাম্য। কিন্তু সেটা কবে হবে?