আরেকটি রাজকীয় বিয়ের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব। অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার, তারপরই সেই আকাঙ্ক্ষিত ক্ষণ। এই দিনে প্রিন্স হ্যারি নিশ্চয়ই সবচেয়ে বেশি মনে করবেন তার মা প্রিন্সেস ডায়ানাকে। ২০ বছর আগে কার দুর্ঘটনায় মারা যান প্রিন্সেস ডায়ানা।
টিনা ব্রাউনের লেখা ‘দ্য ডায়ানা ক্রনিকেলস’ বই থেকে জানা যায়: বিয়ের আগের রাতে খুবই অস্থির ছিলেন ডায়ানা। এমনকি সেই রাতে বাইসাইকেল চালাতে চালাতে তিনি গাইছিলেন, আমি যুবরাজকে বিয়ে করতে যাচ্ছি কাল। অস্থির হয়েই বিয়ের আসর ক্লিয়ারেন্স হাউজের একপাশে পড়ে থাকা সাইকেলটা তুলে নিয়ে চালাতে চালাতে তিনি ক্রমাগত বেল বাজাতে এবং গাইতে থাকেন।
শুধু তাই নয়, মার্চ থেকে জুলাইয়ের ২৯, বিয়ের দিনটির মধ্যে নাকি ১৪ পাউন্ড ওজন কমে যায় ডায়ানার। কোমরও ২৯ থেকে কমে সাড়ে ২৩ হয়ে যায়। আবার বিয়ের আগের রাতে এত বেশি খান যে অনেকটা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অবশ্য বিয়ের আগের রাত মেগানের কেমন কেটেছে সেটা এখনো জানা যায়নি।
প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে প্রিন্স হ্যারির সম্পর্ক ছিলো খুবই গভীর। তাই সবারই ধারণা, প্রিন্স হ্যারি কোনো না কোনো উপায়ে নিজের বিয়েতে মায়ের উপস্থিতি রাখবেনই।
বিয়ের মঞ্চের পেছনে ঠিক কী কী হবে সেসব বিষয়ে এখনো কোনো কিছুই সামনে আসেনি। সবকিছুই এখনো অন্ধকারেই রয়েছে তবুও এক বিশেষজ্ঞের দাবি ফুল দিয়েই হয়তো মাকে শ্রদ্ধা জানাবেন হ্যারি।
অনলাইনে ফুল বিক্রেতা লানা এলি বলেন: বিয়েতে ফুলের ব্যবহার শুধুমাত্র সুন্দর দেখানোর জন্যই নিশ্চয়ই হবে না।
আকর্ষণীয় সব ফুল দিয়ে হ্যারি ও মেগানের বিয়ের মঞ্চটা সাজিয়েছেন ফিলিপ্পা ক্রাড্ডক। তাতে থাকছে পিওনিস, সাদা গার্ডেন রোজ, ফক্সগ্লোভস ফুল। সঙ্গে আরো থাকছে বিচ, বির্চ ও হর্নবিম।
এলি বলেন: সাদা গার্ডেন রোজই হয়তো মায়ের জন্য হ্যারির ভালোবাসার প্রকাশ। কারণ অনেকেই জানেন, এটা প্রিন্সেস ডায়ানার প্রিয় ফুল ছিল। গত বছরে তার মৃত্যুর ২০ বছরকে সামনে রেখে কেনসিংটন প্যালেসে প্রচুর সাদা গোলাপ লাগানো হয়।
রাজবিয়ের অনেক অনেক ফুলই স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা আর কিছু বিশেষ ফুল ক্রাউন এস্টেটের বাগান থেকে সংগ্রহ করা, কিছু উইন্ডসরের গ্রেট পার্ক থেকে।
তবে ক্রাড্ডক নিজেই বলেন: ফুলগুলো হ্যারি ও মেগানের সম্পর্ককেই ফুটিয়ে তুলবে। সঙ্গে প্রচারণা চালাবে স্থানীয় উৎস, মৌসুম ও স্থায়িত্বকে।