কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণে কিছুটা ধীরগতি দেখা দিয়েছে। চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) ব্যাংকগুলো কৃষিঋণ বিতরণ করেছে ৯৭৭ কোটি টাকা। যা তার আগের অর্থবছরের (২০১৮-১৯) একই সময়ের তুলনায় ১৭৪ কোটি টাকা কম।
কৃষি ও পল্লী ঋণ নিয়ে প্রস্তুত করা বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নতুন অর্থবছরে জন্য (২০১৯-২০২০) কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ হাজার ১২৪ কোটা টাকা।
বিদেশী রাম্বুটান ফল ও কাজু বাদামের চাহিদা দিন দিন বাড়ায় এই দুটি ফল চাষাবাদে এবার কৃষি ঋণ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এসব ফল উৎপাদনে একজন কৃষক ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। চলতি অর্থবছর থেকে এই খাতে নিতে পারবেন কৃষকরা।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণ হয়েছে মোট ২৩ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা বেশি। এটা তার আগের অর্থবছরের তুলনায় ২ হাজর ২২২ কোটি টাকা বেশি। অর্থাৎ মোট লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ১০৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৫৬১ কোটি টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক বিতরণ করেছে ৪১৬ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ে বেসরকারি ও বিদেশি একত্রে এবং রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের বিতরণের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৭৮৩ এবং ৩৬৮ কোটি টাকা।
সামগ্রিকভাবে আগের বছরের তুলনায় এবছর কৃষিঋণ বিতরণ কমেছে ১৭৪ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ১২৪ কোটা টাকা। যা বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি।
কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর জন্য ১০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য ১৩ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।