চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মেসেঞ্জার ‘বট’ নিয়ে ঢাকায় ফেসবুকের অনাড়ম্বর আয়োজন

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ফেসবুক মেসেঞ্জারে যুক্ত হয়েছে মেসেঞ্জার বট। মেসেঞ্জার বটের এই প্রযুক্তিতে ‘বট’ নিজেই আপনার সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যেতে পারে। অ্যাপযুগের এই সময়ে নামীদামী অনেক ব্র্যান্ড ফেসবুকে বিপুল গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ আরও কার্যকর করতে ঝুঁকছে মেসেঞ্জার বটে। নতুন ধারার এই অংশগ্রহণমূলক যোগাযোগে দেশের প্রথম গণমাধ্যম হিসেবে নাম লিখিয়েছে ইংরেজি পত্রিকা দ্য ডেইলি স্টার।

এবছর ফেসবুকের ডেভেলপার (এফ-এইট) সম্মেলনে অন্যতম আলোচিত বিষয় ছিলো মেসেঞ্জার বট। ফেসবুকের মূল আয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঢাকায় আয়োজিত হয় এফ-৮ মিটআপ। এই আয়োজনেই মেসেঞ্জার বট এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির হালচাল তুলে ধরেন ডেইলি স্টারের বিপণন প্রধান তাজদিন হাসান।

নির্ধারিত আলোচনার শুরুতেই প্রিন্ট মিডিয়া এবং অনলাইন মিডিয়ার সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন তাজদিন। তিনি বলেন, এখন ছাপা পত্রিকার চেয়ে অনলাইনেই ওই পত্রিকা বেশি পড়ছে মানুষ। তবে বাংলাদেশসহ এশিয়ায় বিজ্ঞাপনদাতারা ছাপা কাগজেই বেশি বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।

তবে এই অবস্থায় খুব দ্রুত পরিবর্তন আসছে জানিয়ে তিনি বলেন,‘দিনের শুরু থেকেই এখন প্রায় সবাই ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশি সময় কাটাচ্ছে। আর বিজ্ঞাপনদাতারা সেখানেই যায় যেখানে তাদের মূল টার্গেট অর্থাৎ পাঠক-দর্শক-শ্রোতারা বেশি থাকে।’

ভুয়া, অপ্রয়োজনীয় এবং উস্কানি দেয়া খবরে পাঠক খুব দ্রুত আগ্রহ হারায় জানিয়ে তিনি বলেন,‘কেবল ক্লিক পেতে ভুয়া শিরোনামে করা সংবাদের দিন শীঘ্রই শেষ হচ্ছে। এখন শুধু ডেইলি স্টার, প্রথম আলো নয় দেশের নির্ভরযোগ্য অনলাইন নিউজপোর্টালগুলো মানসম্পন্ন সাংবাদিকতা চর্চার চেষ্টা করছে, ভালো মানের এডিটোরিয়াল প্রকাশ করছে।’

পাঠকের চাহিদা এবং সাংবাদিক-পাঠক সেতুবন্ধন গড়তে মেসেঞ্জার বটের সম্ভাবনা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ২০১২ সালে ডেইলি স্টারের ওয়েবসাইটে ফেসবুক থেকে পাঠক আসতো মাত্র ৯ শতাংশ। আর এবছর তার পরিমাণ ৩১ শতাংশ। ২০২০ সাল নাগাদ ফেসবুক থেকে আমরা ৫০ শতাংশ পাঠক পাবো আশা করি। প্রযুকির এই সময়ে সাংবাদিকতা কেবল একমুখী তথ্য সরবরাহ নয়। মেসেঞ্জার বট সাংবাদিককে আরও নিবিড়ভাবে পাঠকের চাহিদা জানার সুযোগ দিচ্ছে। আসলে সামাজিক মাধ্যমে আলাদা আলাদা অ্যাপের চেয়ে এই বট ব্যবস্থায় সব সুবিধা চলে আসছে এক ছাতার নিচে।

রাজধানীর গ্রামীনফোন সদর দপ্তরে (জিপি হাউজ) আয়োজিত এফ-এইট আয়োজনের শুরুতেই এবছর ফেসবুক ডেভেলপার্স সম্মেলনে দেয়া মার্ক জাকারবার্গের বক্তব্য এবং ফেসবুকের নিত্যনতুন সেবার পেছনের কারিগরদের দেয়া বক্তব্যের ভিডিও বড় পর্দায় দেখানো হয়। ঢাকায় ফেসবুকের এই আয়োজনের আঞ্চলিক সংস্করণের যৌথ আয়োজক ছিলো গ্রামীনফোনের উদ্ভাবনী শাখা হোয়াইটবোর্ড।