আজ ১১ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা কুষ্টিয়া জেলাকে শত্রুমুক্ত করেন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ১শ ৪৭ জন সেনাবাহিনী সশস্ত্র অবস্থায় কুষ্টিয়ায় অবস্থান গ্রহণ করে এবং রাতেই সারা শহরে সান্ধ্য আইনজারী করে। ২৬ মার্চ সান্ধ্য আইন ভেঙ্গে ঘর থেকে খাবার কিনতে বেরিয়ে আসায় চারজন নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং ২৭ মার্চ সেনাবাহিনীর ওপর হামলার চেষ্টাকালে একজন ছাত্র শহীদ হয়। এ ঘটনার পর সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে। সদর উপজেলার বংশীতলা, আড়পাড়া, ধলনগর, ব্যাঙগাড়ী ও ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০ টা থেকে পরদিন ভোররাত পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এই ফাইটার বিমানের কাছে মুক্তিবাহিনী-মিত্রবাহিনীর যৌথ ভাবে পাকিস্তান বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়।
এতে পাকিস্থানবাহিনীর ৩০ জন, মিত্রবাহিনীর ৭০ জন এবং মুক্তিবাহিনী ৭ জন নিহত হয়। মুক্তিবাহিনীর অনেকের লাশ ফিরে পায়নি স্বজনেরা। এ যুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনী পরাজিত হয়ে পিছু হটতে থাকে। অবশেষে ১১ ডিসেম্বর সকালে কুষ্টিয়া শত্রুমুক্ত হয়।
এ উপলক্ষ্যে আজ সকাল থেকে দিনব্যাপী জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডসহ বিভিন্ন সংগঠন র্যালি, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসুচী পালন করছে।
প্রতিনিধি: আনিসুজ্জামান ডাবলু