কুমিল্লায় নানার বাড়িতে ফাঁসিতে ঝুলে সুমাইয়া সুলতানা ইরিন (১৭) নামে এক তরুণী ও তামান্না আক্তার (১৩) নামে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে জেলার চৌদ্দগ্রাম ও লাকসাম উপজেলায় পৃথক এ দু’টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত দু’জনই নানা বাড়িতে থাকতো বলে জানা গেছে।
চৌদ্দগ্রামে নিহত তরুণী ইরিন উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মো. ইলিয়াছ মিয়ার মেয়ে ও কনকাপৈত আলহাজ্ব নুর মিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তার নানার বাড়ি একই উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের হিংগুলা গাজী বাড়ি থেকে পড়ালেখা করতো।
লাকসামে নিহত কিশোরী তামান্না বরুড়া উপজেলার দক্ষিণ ঘোষপা গ্রামের জসিম উদ্দিনের মেয়ে। ছোটবেলা থেকেই লাকসামের মুদাফরগঞ্জ ইউনিয়নের ছিকোনীয়া গ্রামে নানাবাড়িতে বসবাস করতেন।
চৌদ্দগ্রাম থানাধীন কনকাপৈত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অমর চন্দ্র দাস জানান, কলেজছাত্রী মঙ্গলবার সকালে হিংগুলা গাজী বাড়ীর মো. আলী হায়দারের (নানা) ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য ইরিনের লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লাকসাম থানার পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরী তামান্না আক্তার সোমবার রাতে নানা-নানীর অগোচরে ঘরের সিলিংয়ে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
সংবাদ পেয়ে এসআই গোবিন্দ কুমার ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
লাকসাম থানার ওসি নিজাম উদ্দিন বলেন, আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।