কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষা এবং অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন কর্মসূচি শুরু করেছে স্বর্ণকিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন।
কর্মসূচি উদ্বোধন করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে স্বর্ণকিশোরীর কার্যক্রম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।
স্বর্ণকিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কিশোর-কিশোরী সুরক্ষা, বাল্যবিবাহ বন্ধ, বয়ঃসন্ধি স্বাস্থ্য এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন প্রকল্প শুরু হয়েছে।
৪শ’ ৯০টি উপজেলার একটি করে স্কুলে ওই কর্মসূচিতে থাকছে প্রশিক্ষণ, সচেতনতা বাড়ানোসহ নানা কার্যক্রম।
স্বর্ণকিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম ও নতুন প্রকল্পের পরিচালক জাহান আরা বেগমও জানালেন এই কর্মসূচির মাধ্যমে কৈশোরে জেন্ডার সংবেদনশীলতা এবং সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের প্রত্যাশার কথা।
বক্তারা বলেন, সমাজ গঠনে কিশোর-কিশোরীদের নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তোলা উচিত।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম জানান বাল্য বিয়ে শিশুর জন্য ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতা, অপূরণীয় ক্ষতি। কর্মশালায় সামাজিক সচেতনায় বাল্য বিয়ে বিরোধী একটি স্লোগানও পাঠ করেন তিনি।
স্বর্ণকিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের সিইও ও চেয়ারপার্সন ফারজানা ব্রাউনিয়া বলেন, ‘ স্বর্ণ কিশোরী এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে হয়ে যে ক্লাবটি গঠন করেছে তাকে আমরা সফল করে তুলতে চাই। এই মুহূর্তে এই মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে দুই কোটি মেয়ে একত্রিত হচ্ছে’।
নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
তিনি বলেন, ‘স্বর্ণ কিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন নিঃসন্দেহে একটি ভালো কাজে হাত দিয়েছে। কারণ আমাদের দেশের যে চ্যালেঞ্জগুলো আছে, নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলো আছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে বাল্য বিয়ে।’
প্রকল্প শুরু হয়েছে চলতি বছরের এপ্রিলে। শেষ হবে আগামী বছরের মার্চে।