ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ওপর আরোপিত কারফিউ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় নিষেধাজ্ঞাসহ সব ধরনের অবরোধ তুলে নেওয়ার বিষয়ে এখনই হস্তক্ষেপ করতে রাজি নন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান এ অবরোধ তাৎক্ষণিকভাবে তুলে নেয়ার আবেদন জানিয়ে করা এক পিটিশনের জবাবে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালত এ সিদ্ধান্ত জানান।
সোমবার পিটিশনটি দায়ের করেছিলেন সমাজকর্মী তেহসিন পুনাওয়ালা।
শুনানিতে আদালত বলেন, ‘আমরা অবশ্যই স্বাভাবিক পরিস্থিতি আশা করি। কিন্তু একরাতের মধ্যে তো কিছুই করা সম্ভব নয়। আমাদেরকে সরকারের ওপর নির্ভর করতে হবে… এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়।’
আদালত বলেন, এমন একটি স্পর্শকাতর ইস্যু সামলানোর জন্য সরকারকেও কিছুটা সময় দিতে হবে। তাই শুনানি দু’সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেন সুপ্রিম কোর্ট।
গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রহিতের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাশ্মীরের প্রায় ৭০ বছর ধরে পেয়ে আসা স্বায়ত্তশাসনসহ বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা তুলে নেওয়া হয়। পাশাপাশি রাজ্যটিকে ভেঙে লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর নামে দুটি আলাদা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই ফুঁসে উঠেছে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জনগণ।
বলতে গেলে ওই দিনের আগে থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং কাশ্মীরিদের সে অঞ্চলে ঢোকা-বের হওয়া বন্ধের পাশাপাশি সব ধরনের রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। রাস্তায় নামানো হয় সেনাবাহিনী ও প্যারামিলিটারি। তবে ৯ আগস্ট তা কিছুটা শিথিল করা হয়। লেহ ও জম্মু থেকে তুলে নেয়া হয় ১৪৪ ধারা। খুলে দেয়া হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি দপ্তরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
ঈদ উপলক্ষে শনিবার থেকে কারফিউ তুলে নেয়া হলেও ঈদে নিরাপত্তার বিষয়ে আশঙ্কার কথা বলে রোববার সকাল থেকে আবারও শুরু হয় কারফিউ।