সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে নেপাল। অষ্টম শ্রেণীর পর যে কোনো শিক্ষার্থী কারিগরি বোর্ডের অধীনে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে লেখাপড়া করার সুযোগ পাচ্ছে। শিক্ষকরা বলেছেন, ব্যবহারিক বিষয় শেখানো হয় বলে কলেজে প্রবেশ করার আগেই সুবিধা বঞ্চিত অনেকে আয় করারও সুযোগ পাচ্ছে।
দক্ষ ও প্রযুক্তি নির্ভর জাতি গঠনের জন্য ১৯৮৯ সালে নেপালে গঠন করা হয় কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। মূলত ওই সময় থেকে এগিয়ে যেতে থাকে নেপালের কারিগরি শিক্ষা। নানা কর্মসূচী গ্রহণের পরেও ২০১০ সাল পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৫ শতাংশ। তবে গত ৫ বছরে পাল্টে গেছে নেপালে শিক্ষার চিত্র। কারিগরি শিক্ষায় এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ শতাংশ।
নেপালের উপার্জনের একটা বড় অংশ পর্যটন খাত থেকে আসায় অষ্টম শ্রেণীর পরই হোটেল ম্যানেজমেন্টে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
এই স্কুলের শিক্ষকরা বলছেন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে পরিচালিত এই কোর্সের শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পাসের পরপরই পাঁচ তারকা হোটেলে চাকরির সুযোগ পাচ্ছে চড়া বেতনে। সেখানে হাতেকলমে শেখানো হয়। কারিগরি শিক্ষা মূলত এমনই – একটু এগিয়ে থাকা। দশম শ্রেণীর পর ব্যবহারিক বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সুযোগ করে দেয়া হয় স্কুলটিতে। কারিগরী বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ খুব বেশি বলে জানান তারা।
শিক্ষকরা বলছেন, কর্মমুখী জাতি গড়তে গত কয়েক বছর ধরে কারিগরি খাতে বিনিয়োগ করছে নেপাল।
কাঠমান্ডুর সিলভার মাউন্টেন স্কুলের নির্বাহী পরিচালক সামির থাপা বলেন, ‘২০০২ সালে ৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আমরা শুরু করেছিলাম। আর এখন প্রচুর শিক্ষার্থী। এ চিত্র সব কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।
আশার কথা হচ্ছে কারিগরি শিক্ষায় লেখাপড়া করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে এগিয়ে আছে মেয়ে শিক্ষার্থীরা।