কানাডায় সাধারণত জুলাই-আগস্ট মাসে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে অবিভাবকদের পরিকল্পনা থাকে সন্তানদেরকে নিয়ে বাইরে বের হওয়ার। কিন্তু এবছর করোনাভাইরাস থাকার কারণে সব পরিকল্পনাই বাতিল হয়েছে। এছাড়া চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে অনেকেই ঘরে আইসোলেশন রয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে ইতোমধ্যে কানাডায় ধীরে ধীরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও খুলতে শুরু করেছে।
কানাডার বিভিন্ন প্রভিন্সে ধীরে ধীরে সবকিছু আবার স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আর শঙ্কা রয়েই গেছে। একদিকে একটানা তিনমাস ঘরে বসে থাকা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আর অন্যদিকে অফিস খুলতে শুরু করায় এক দোটানার মধ্যে রয়েছে এখন কানাডাবাসী। আর এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে স্কুল কলেজ খোলা প্রসঙ্গ নিয়ে। অনেক অভিভাবকই এখন চিন্তিত পরবর্তী সেশনে তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে।
অন্যদিকে আজ আলবার্টার শিক্ষামন্ত্রী আদ্রিয়ানা লগ্রেঞ্জ এবং চিফ মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ডিনা হিনসা আলবার্টায় শিক্ষায়় পুনরায় প্রবেশের পরিকল্পনা এবং এর সাথে জনস্বাস্থ্যের দিকনির্দেশনা প্রকাশ করেন।
এই পুনরায় প্রবেশের পরিকল্পনাটি আলবার্টা স্কুল বোর্ডস অ্যাসোসিয়েশন, আলবার্টা শিক্ষকদের সমিতি এবং কলেজ অফ আলবার্টা স্কুল সুপারিন্টেন্ডেন্টসহ শিক্ষাগত অংশীদারদের ইনপুট নিয়ে তৈরি হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী আদ্রিয়ানা লগ্রেঞ্জ বলেছেন যে তিনি আশা করছেন কিন্ডার গার্ডেন থেকে গ্রেড ১২ শিক্ষার্থীরা পরবর্তী সেশনের জন্য স্কুলে ফিরে আসবে, তবে জনস্বাস্থ্যের দিকনির্দেশনার ভিত্তিতে সরকার আগামী ১ লা আগস্টের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ ১৫ জনকে ক্লাসে এবং দুই মিটার দৈহিক দূরত্ব অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
পুনরায় স্কুল খুলে দেয়ার পরিকল্পনায় অনেক অভিভাবকই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের অনেকেই মনে করছেন, পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক হয়ে আসলেই কেবল তাদের সন্তানদেরকে স্কুলে পাঠাবেন।
কানাডায় করোনাভাইরাস অর্থাৎ কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়ে এখন দাঁড়ালো ৭,৯৬০ জন। আক্রান্তের পরিমাণ সাতানব্বই হাজার একশত পঁচিশ জন। এবং সুস্থ হয়েছেন ৫৬ হাজার ৬৩৯ জন।
উল্লেখ্য, কানাডার ভ্যাংকুভারে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনায় মারা গেলেও এখন ভ্যাংকুভার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তুলনামূলক ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় মৃতের সংখ্যা অনেক কম। কানাডার ভ্যানকুভার শহরে টানা ৫ম দিনের মতো কোন মৃত্যুর সংখ্যা নেই। আর এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা।