কানাডার তরুণদের সতর্ক করে দেশটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.থেরসা ট্যাম বলেছেন, ‘হঠাৎ করেই গত দুই সপ্তাহে কানাডায় বাড়ছে করোনা শনাক্ত রোগী, তাই অবশ্যই তরুণ সমাজকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং প্রবীণ পিতা-মাতাদের সংক্রমিত করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’
কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যম সিটিভি নিউজ জানিয়েছে, এক সপ্তাহ আগে থেরেসা ট্যাম এই সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, এই সপ্তাহে তার ডেপুটি ডা. হাওয়ার্ড নিজেই একই সতর্কবাণী দিয়েছেন যে ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সের মানুষের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।
ট্যাম আরো বলেছেন, যে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে কোভিড -১৯ এর সবচেয়ে বেশি সংঘটিত হারের ক্ষেত্রে তরুণদের সংখ্যাটাই ছিল বেশি।
গ্রীষ্মের শুরুতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাবার পরে সাত দিনের গড়ভিত্তিক দৈনিক জাতীয় গণনায় আবার তা সারাদেশে বাড়ছে।
ট্যাম বলেছেন, সংক্রমণের সংখ্যার প্রবণতাটি নির্ধারণের জন্য সাত দিনের পরিমাপ সর্বোত্তম উপায়।
তিনি বলেছেন , মে মাসের প্রথম দিকে এটি প্রতিদিনের সর্বোচ্চ পরিমাণে ১৮০০ ছিল, পরে জুলাইয়ের প্রথম দিকে তা কমে ২৭৩ এ নেমেছে, তবে শেষ সাত দিনে দৈনিক গড় সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮৭ তে।
কানাডার বিভিন্ন সিটিতে ইতিমধ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হয়েছে। একদিকে অর্থনীতি সচল রাখা আর অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিয়ে উভয়সঙ্কটে পড়েছে বিভিন্ন শহরের নীতিনির্ধারকেরা।
বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়, প্রতিদিনই নতুন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী কানাডায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা্ ১লাখ ১৩ হাজার ২০৬ জন, মারা গেছে ৮ হাজার ৮৮১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯৮ হাজার ৮৭৩ জন।