চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কাজে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক রিয়াজ

শ্রেণিকক্ষে অশ্লীল চিত্র প্রদর্শনের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক রিয়াজুল হক কাজে যোগ দিয়েছেন। আদালতের রায়ের পর তার বকেয়া বেতন ভাতা দেওয়ার ব্যাপারটিও অনুমোদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের পর থেকেই ক্লাসরুমে ফিরছেন তিনি।

অধ্যাপক রিয়াজুল হক চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: গত ২৮ মে প্রধান বিচারপতির রায়ের পর ২৯ তারিখেই আমি বিভাগে গিয়েছি। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে স্নাতক শ্রেণির ক্লাস শুরু করবো।

আদালতের রায়ের ভিত্তিতে গত ১১ জুন অধ্যাপক রিয়াজুল হককে পাঠানো এক পত্রে গত মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের বকেয়া বেতন-ভাতাদি এবং নিজ পদের জন্য প্রাপ্য আনুসঙ্গিক ভাতাদি প্রদানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের কথা জানানো হয়।

গত ২৮ মে অধ্যাপক ড. রিয়াজুল হককে বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। ফলে পুনরায় তার কাজে যোগ দানে আর কোনও বাধা থাকলো না বলে জানায় তার আইনজীবীরা।

ঢাবি কর্তৃপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। হাইকোর্টে রিয়াজুলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

এর আগে ৯ এপ্রিল বিচারপতি কাজী রেজা উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন।

একইসঙ্গে কারণ উল্লেখ ছাড়া তাকে বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেন আদালত।

চার সপ্তাহের মধ্যে ঢাবি উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে করলে তার নিষ্পত্তি হয় আপিল বিভাগে।