ঘরের মাটিতে চলা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন ভারনন ফিল্যান্ডার। বয়সের কথা বিবেচনায় অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেও একবারেই কিন্তু ক্রিকেট ছাড়ছেন না সাউথ আফ্রিকান এই পেসার। ইংলিশ কাউন্টি দল সমারসেট এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, কলপ্যাক চুক্তির অধীনে প্রোটিয়া পেসারকে ঘরে টানতে যাচ্ছে তারা।
গত অক্টোবরেই অবসরে গিয়ে কলপ্যাক চুক্তিতে নাম লিখিয়েছিলেন হাশিম আমলা। এই চুক্তির কারণেই ডুয়েনে অলিভিয়ের, কাইল অ্যাবটের মত সম্ভাবনাময় পেসারদের জাতীয় দলে পায়নি সাউথ আফ্রিকা। রাইলি রুশোর মতো বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানরা খেলে বেড়ান বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্জাইজি লিগগুলোতে। কলপ্যাক নিয়ে সাউথ আফ্রিকান মাথা ব্যথাটা আরও একবার বাড়াতে চলেছেন সাবেক হওয়ার ঘোষণা দেয়া ফিল্যান্ডার।
ঘোষণা দিলেও আনুষ্ঠানিকতা সারতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সমারসেট। সবরকম প্রক্রিয়া শেষ করতে করতে এই বছর গড়িয়ে যাবে বলে ভাবনা ক্লাবটির। ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের অনুমতিরও প্রয়োজন আছে।
তবে খানিকটা শঙ্কাও আছে। এই চুক্তির ফলে একজন ক্রিকেটার দেশের হয়ে না খেলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের যেকোনো দেশে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে পারেন। সেদেশে আর বিদেশি হিসেবে বিবেচিত হবেন না। আর যে কাউন্টি দল কলপ্যাকের খেলোয়াড় নেবে তারা সুবিধা পাবে বাড়তি বিদেশি খেলানোর। এখানেই হচ্ছে ঝামেলাটা।
ইউরোপিয় ইউনিয়ন(ইইউ) থেকে ব্রেক্সিটের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে ব্রিটেন। আর ব্রেক্সিট হয়ে গেলে কলপ্যাক চুক্তির অধীনে বিদেশি খেলোয়াড়রা আর আগের মত সুযোগ পাবেন কিনা সেটা নিয়েও আছে প্রশ্ন।
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি ইইউ থেকে বেড়িয়ে যাবে ব্রিটেন। হয়তো আগামী মৌসুম পর্যন্ত কলপ্যাকের সুবিধা পাবে ইংলিশ কাউন্টি দলগুলো। এরপর থেকেই এই কলপ্যাকের খেলোয়াড়রা বিবেচিত হতে পারেন বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে। তাই সমস্যা কমাতে একজনের জায়গায় দুজন করে বিদেশি খেলোয়াড় খেলানোর অনুমতি দিতে পারে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড।
চুক্তি সারলেও সমারসেটের নিয়মিত একাদশে জায়গা পাবেন কিনা সেটাও প্রশ্ন। লুইস গ্রেগরি, ক্রেইগ, জেমি ওভারটন, জস ডেভি ও জ্যাক ব্রুকসদের মত পেসারদের নিয়ে এমনিতেই বেশ শক্তিশালী সমারসেট। ফিল্যান্ডারের জায়গা পাওয়াটা একটা বড় সমস্যা। তবে ক্লাব ডিরেক্টর অ্যান্ডি হারি বলছেন, ফিল্যান্ডারের জায়গা ঠিকই ব্যবস্থা করে দেবেন তিনি।