প্রথমবারের মতো অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ আইআরডিতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। বিভাগটির সচিব পদাধিকারবলে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে মত বিনিময় রাজস্ব আয়ে গতি আনবে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সচিবালয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে অর্থমন্ত্রী একটি কর সেবা কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিদেশি দান-খয়রাত আর ঋণের চক্র থেকে বেরিয়ে নিজেদের সম্পদে দেশ গড়ার লক্ষে ১৯৭৯ সালে যাত্রা শুরু করে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ আইআরডি’র। অর্থমন্ত্রণালয়ের অধীনে অর্থ বিভাগ, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ইআরডির মতো অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বরং বাস্তবতা হলো ৩ লাখ কোটি টাকার বাজেটে সোয়া ২ লাখ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের প্রায় সবটাই যোগান দেয়া অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের গুরুত্ব বাড়ছে প্রতিদিনই। ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩’শ ৭০ কোটি টাকা আসবে এই বিভাগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে। অবশ্য আরো ১৫ হাজার কোটি টাকা আসবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের আরেক অঙ্গ জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর থেকে।
এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন,এই প্রথম অর্থমন্ত্রী অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ পরিদর্শন করবেন। এজন্য এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে। সেটারই আয়োজন হচ্ছে। সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য সেবা কেন্দ্র খোলা হবে।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ওপর বিশাল রাজস্ব আয়ের দায়িত্ব। কাজেই এই বিভাগের কর্মযজ্ঞে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন কৌশল। বিভাগ ও জেলার পর উপজেলা পর্যায়ে কর মেলার আয়োজন এমনই এক উদ্যোগ।
নজিবুর রহমান আরো বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বড় বড় শহরের বাইরে যারা ব্যবসা পরিচালনা করছেন তাদের নেটের আওতায় নিয়ে আসা। যেসব উপজেলায় আমাদের আয়কর অফিস আছে সেখানে স্থায়ীভাবে আয়কর মেলা করা হবে। প্রথমদিকে ২ দিন ব্যাপি হবে। যেখানে অফিস নেই সেখানে ভ্রাম্যমাণ মেলা করা হবে।
রাজস্ব বোর্ডের হিসাবে বর্তমানে আয়কর রিটার্ন জমা দেন প্রায় ১৩ লাখ মানুষ। কিন্তু তাদের কাছে তথ্য আছে ১৬ কোটি মানুষের দেশে কর দেয়ার মতো সক্ষমতা আছে অন্তত ৮০ লাখ মানুষের।