দেশে করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণায় নাইজেরিয়ান বা মরিসাস নামে নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। আর শনাক্ত হওয়া করোনা রোগীদের ৯৮ শতাংশই ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত বলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
গণটিকাদান এক সপ্তাহ পিছিয়ে ১৪ আগস্ট থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশের প্রতিটি বিভাগ থেকে ৩০০ রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে কোভিড-১৯ এর জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণা চালায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বিএসএমএমইউ।
জেনেটিক্স অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুম বানুর নেতৃত্বে ২৯ জুন থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত চলা এই গবেষণায় দেখা যায়, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি। পাশাপাশি ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হলে প্রাণহানী বেশি ঘটে বলে জানিয়েছেন
অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
গর্ভবতী নারীদের অন্তর্ভুক্ত করে আগামীতে আরও বড় পরিসরে করোনার জিনোম সিকোয়েন্স করার পরিকল্পনা গবেষকদের বলে জানিয়েছে প্রধান গবেষক ডা. লায়লা আনজুম বানু।
তবে লকডাউনের পরিবহণ সংকটের কারণে অনেকেই টিকা নিতে পারবেন না। এজন্য ৭ আগস্টের পরিবর্তে ১৪ আগস্ট থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।