করোনাভাইরাস নির্মূলের লক্ষ্যে দেশের জনগণকে টিকা দেয়ার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচি উদ্বোধন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন: ভ্যাকসিন কার্যক্রম সারা বছর চলবে। এই ভ্যাকসিন সবচেয়ে নিরাপদ।
তিনি বলেন: করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে সমালোচনা নয়, দেশ থেকে করোনা নির্মূলের জন্যই ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে জাহিদ মালেক ভ্যাকসিন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে করোনার টিকা নেন।
এরপর থেকেই দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু হয়। এরই একটি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল। সেখানে সেনাবাহিনী সদস্যদের মাঝে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন হয়েছে। এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন: বর্তমান সরকারের বিনামূল্যে টিকা প্রদান কর্মসূটি অনন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। আর দুঃসময়ে যেভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সকল কাজে পারদর্শীতা দেখিয়েছে তা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
রোববার উদ্বোধনের দিন প্রায় ২০০ জন সেনা সদস্য সিএমএইচে ভ্যাকসিন নেবেন বলেও জানিয়েছেন এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লে. জেনারেল আতাউল হাকিম বলেছেন: টিকা নিয়ে অন্য সব দেশে হিমশিম খেলেও আমরা সেদিক থেকে স্বস্তিতে আছি। এখানে আমি প্রথম টিকা নিলাম।
অন্যদিকে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে কোভিড ১৯ টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন: সারা বিশ্বে যখন টিকা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনা ও হতাশা বিদ্যমান, সেখানে আমরা গরীব দেশ হওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে দেশে দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে।
এসময় সবাইকে নির্ভয়ে টিকা নেয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
দক্ষিণ সিটির অধীনে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে নিবন্ধন করেছে এমন ৫৬ জন আজ টিকা নিচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ সিটির অধীনে ১৯টি হাসপাতাল ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকাদান শুরু হলো।