দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫৫৪তম দিনে ৫১ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৯৩১ জন। গতকাল মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৮।
গত ১৫ জুন আজকের আগে সর্বনিম্ন ৫০ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৫ হাজার ৭৪টি পরীক্ষায় এক হাজার ৮৭১ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার সাত দশমিক ৪৬ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৬৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২৪ লাখ ১৩ হাজার ১৮১টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৯২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩৩টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪১৩ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৫৮৬ জনসহ মোট ১৪ লাখ ৭৮ হাজার ৮২১ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৫১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ২২ জন পুরুষ ও ২৯ জন নারী। তাদের মধ্যে সবারই হাসপাতালে (সরকারিতে ৪৩ জন, বেসরকারিতে আটজন) মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৬ হাজার ৯৩১ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২২ হাজার ৯০৬ জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ০৫ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিন হাজার ২২৪ জন, যার শতকরা হার ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ। বাসায় ৭৬৭ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৮৫। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৪ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৩৫৮ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং নয় হাজার ৫৭৩ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৫১ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী দু’জন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব সাতজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৬ জন, ষাটোর্ধ্ব আটজন, সত্তরোর্ধ্ব ১২ জন, আশি ঊর্ধ্ব একজন ও নব্বই ঊর্ধ্ব একজন ।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে নয়জন, সিলেট বিভাগে ছয়জন, রংপুর বিভাগে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন।বরিশাল বিভাগে কেউ মারা যাননি।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২২২টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২২ কোটি ৫২ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৬ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন সাত কোটি ১৭ লাখের বেশি।