চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

অবশেষে চীনের উহানে যাবার অনুমতি পেল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানীরা

করোনার উৎস সন্ধানে আগামী বৃহস্পতিবার চীনের উহানে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দশ সদস্যর বিজ্ঞানী দল। চীনের পক্ষ থেকে তদন্তকে বাধা দেয়ার পর এবং মহামারী শুরু হওয়ার এক বছরেরও বেশি সময় পরে এ তদন্ত করতে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এই বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত পরিচালনা করার ব্যাপারে বেইজিং কখনোই খুব একটা আগ্রহ প্রকাশ করেনি। উহানে তদন্ত পরিচালনা করার অনুমতি পেতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা করতে হয়েছে চীনের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ডাব্লিউএইচও দল কোভিড-১৯ এর উৎস খুঁজতে চীনা বিজ্ঞানীদের সহযোগিতায় যৌথ গবেষণা করবে।’

এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস ঘেব্রেয়িসাস বলেছিলেন, দু’জন সদস্য যাত্রা করার পরও চীন ওই দলটিকে প্রবেশের অনুমতি না দেয়ায় তিনি “অত্যন্ত হতাশ” ছিলেন।

তবে পরবর্তীতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র হুয়া চুনাইং এ ঘটনাকে “ভুল বোঝাবুঝি” বলে অভিহিত করে বেইজিং এই উত্তেজনা হ্রাস করতে চেয়েছিল।

ডাব্লিউএইচও বিশেষজ্ঞ দল চীনের পৌঁছানোর পর দুই সপ্তাহের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।  এরপরে উহানে  পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।  ২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের উহানে মহামারী করোনা ভাইরাস প্রথম  শনাক্ত করা হয়েছিল।

চীনকে চাপের মধ্যে ফেলে করোনা ভাইরাসের উৎস সন্ধানে স্বতন্ত্র তদন্তের জন্য বিশ্বের কাছে আহ্বান জানিয়ে আসছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়া।

প্রাথমিক প্রাদুর্ভাবের সময় বেইজিং তার স্বচ্ছতার অভাবে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিল, যদিও দেশটির সরকার কোনও সমালোচনাকে প্রশ্রয় না দিয়ে এই প্রাদুর্ভাবকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে প্রশংসিত হয়েছে।

চীনের সরকারি কর্মকর্তারা বারবার বলেছেন, মহামারীটির উৎস আবিষ্কার করা একটি “বৈজ্ঞানিক বিষয়”। তবে তারা করোনার উৎস চীনের বাইরে হয়েছে বলে একাধিকবার দাবি জানিয়েছিল।

ভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকে ধারণা করা হচ্ছিল হুবেই প্রদেশের উহান শহরের একটি জীবিত প্রাণী বেচাকেনার বাজারে ভাইরাসটি প্রথমবার শনাক্ত হয় এবং সেখান থেকেই মানুষের দেহে আসে ভাইরাসটি।

তবে কিছু গবেষণা থেকে ধারণা পাওয়া যায়, মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে এমন করোনাভাইরাস বহুকাল ধরেই বাঁদুড়ের দেহে উপস্থিত ছিল।