চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ঢাবি’র পিএইচডি থিসিস বিষয়ে জানতে চান হাইকোর্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আবেদনকারীদের জমা দেওয়া পিএইচডি গবেষণাপত্র (থিসিস) কিভাবে সংরক্ষণ করা হয় এবং তা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোনো সফটওয়্যার বা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় কিনা, তা জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।

আগামী দুই মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তা জানাতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) দাখিল করা প্রতিবেদন শুনানির পর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আবেদনকারী আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিঙ্কন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

পিএইচডি ও সমমানের ডিগ্রি দেওয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গত বছর জানুয়ারি মাসে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮ শতাংশ নকল- শিরোনামে প্রকাশিত খবর যুক্ত করে সেই রিটটি করা হয়। রিটে পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভের (থিসিস) অনুমোদনের আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র (এনওসি) নেওয়ার বিধান করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

পরে ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি করে গত বছর ৪ ফেব্রুয়ারি রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি পিএইচডি ও সমমানের ডিগ্রি প্রদানের ক্ষেত্রে কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নীতিমালা অনুসরণ করা হয় কি না- তা তিন মাসের মধ্যে জানাতে বলা হয়।

ওই আদেশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মঞ্জুরী কমিশন হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেয়। সে প্রতিবেদনের উপর শুনানি শেষে আজ আদেশ দিলেন হাইকোর্ট।