বাসা থেকে উত্তরখান মাজার পর্যন্ত হেটে যেয়ে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক বা রিকশা নিয়ে আজমপুর পর্যন্ত যেতে হয়। তারপর সেখান থেকে বাসে করে অফিস৷ সঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছানোর জন্য খুব সকাল সকাল রওনা দিতে হয়। বাসের জন্য বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় লাইনে দাঁড়িয়ে।আজমপুর ওভারব্রিজের ঠিক পাশেই রাস্তার উপর ফুটপাতে ততক্ষণে একদল মানুষ দু’সারিতে ভাগ হয়ে বসে যায়। এই মানুষদের মধ্যে ছেলে মেয়ে দুরকমই আছে। আবার কম বয়সী থেকে শুরু করে প্রৌঢ়বয়সীও আছেন। উনারা সবাই দিনমজুর। উনারা সকাল বেলা এসে এখানে লাইন দিয়ে বসেন। তারপর বিভিন্ন ঠিকাদার বা বাড়ির মালিকেরা এসে সেখান থেকে উনাদের বাছায় করে নিয়ে যান। এখানে মহিলাদের কদর বেশি কারণ সবাই জানে মহিলারা কাজে কখনওই ফাঁকি দেয় না। আবার তাদের কম মজুরি দিলেও করে না তাই দুইভাবেই লাভবান হওয়া যায়। এই মানুষগুলো দিন আনে দিন খায় অবস্থায় জীবনযাপন করেন। উনাদের কোন জমানো টাকা নেই। যেদিন কাজে যেতে পারেন না সেদিন হয়তোবা উপোস করেই দিনটা কাটাতে হয়।
ঠিক একই অবস্থা রাস্তার রিকশাওয়ালা বা অটোওয়ালা এবং রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ দোকান দিয়ে বসা সিদ্ধ ডিম বিক্রেতা বা কলা বিক্রেতারও। আরও আছে ভ্রাম্যমাণ ভিক্ষুকেরা। রিকশা নিয়ে বের হলেই জমার টাকা জোগাড় করতে হবে শুরুতে। এরপর নিজের দৈনিক খাওয়া পরার খরচ। তারপর যদি কিছু বেঁচে থাকে সেখান থেকে একেবারে সামান্য কিছু কিছু করে বাঁচিয়ে দেশে ফেলে আসা পরিবার পরিজনকে পাঠানো। আমি জীবনে কোনকিছুই দামাদামি করে কিনতে পারিনি। কেনজানি দামাদামি করার স্বভাবটা আমি কোনভাবেই রপ্ত করতে পারিনি। কেউ কোন দাম চাইলে, ভাই কম আছে কি না শুধু এটুকুই বলি সবসময়। রিকশা ভাড়া করার বেলায়ও একই কথা। রিকশায় উঠে উনাদের সাথে গল্প জুড়ে দেয়। এক একটা মানুষ কতশত স্বপ্ন নিয়ে উত্তরবঙ্গের মঙ্গা পীড়িত এলাকা থেকে ঢাকায় এসেছে। এই মানুষগুলোর সাথে শুধু হাসিমুখে দুটো কথা বললে কি যে খুশি হন। আমি মাঝেমধ্যে বাসার সামনে নেমে উনাদের দাড় করিয়ে রেখে বাসায় ঢুকে ফ্রিজের একটু ঠান্ডা পানি বা একটা কলা এনে দেয়। মানুষগুলো খুশিতে কেঁদে উঠেন কিন্তু বয়স্ক মানুষের কান্না ভালো জিনিস না তাই উনাদের গলা ধরে আসে। আমি এইসময় আমার বাচ্চা মেয়েটাকে কোলে করে নিয়ে আসি এবং বেশিরভাগ সময় ওকে বলি পানি বা কলাটা শ্রমজীবী এই মানুষটাকে দিতে৷ আমি চাই ও খুব ছোটবেলা থেকেই মানুষকে মানুষ ভাবতে শিখুক।
এছাড়াও ফুটপাতে হাজারো রকমের অগণিত ভ্রাম্যমাণ দোকান। সেখান থেকেও জীবিকা নির্বাহ করেন হাজার হাজার মানুষ। ট্রাফিক সিগনালে গাড়ি থামলে অনেক মানুষ এসে আমার আপনার দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্র নিয়ে পাশে দাঁড়ায়। আরও আছে হাজার হাজার ভিক্ষুক। সব মিলিয়ে এই সংখাটা ঢাকা শহরের মুল জনসংখ্যার কত অংশ আমার জানা নেই তবে তারা ঢাকা শহরের বিরাট একটা অংশ। তাদের কারণেই আমাদের জীবনযাপন কখনও কঠিন হয়েছে তো আবার কখনও সহজ হয়েছে। যেমন ফুটপাতে দোকান দেয়ার ফলে সেটা দখল হয়ে যাওয়ায় রাস্তার একটা অংশ দখল করে মানুষ হাটা শুরু করেছে ফলে জ্যাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার ফুটপাতের দোকান থেকে ঢাকা শহরের নিম্ন আয়ের মানুষ সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে পারছে। এছাড়াও ঢাকা শহরের রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ ঘর তুলে কতশত মানুষ যে বসবাস করে তার কোন ইয়ত্তা নেই। জীবন ধারনের সামান্য মৌলিক উপাদানও তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নেই। তারা শুধু বেঁচে আছে বেঁচে থাকার জন্য যতক্ষণ না কোন মরণব্যাধি তাদেরকে পরাস্ত করতে পারছে। উনাদের দেখলে আপনি বুঝবেন জীবনে ঠিক কত সামান্যতে সুখি হওয়া যায়।
আমাদের ছোটবেলায় পড়া বিজ্ঞান বইতে বাস্তুসংস্থান নিয়ে কিছু কথা ছিলো যেখানে বলা ছিলো জীবসমষ্টি পরস্পরের সাথে এবং তাদের পারিপার্শ্বিক জৈব ও অজৈব উপাদানের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জীবনধারা গড়ে তোলে। বাংলাদেশে যত বেশি উন্নয়ন হয়েছে শ্রেণী ব্যবধান ততই বেড়েছে দিনেদিনে তবুও সকলের সম্মিলিত অবস্থানে একটা বাস্তুসংস্থান গড়ে উঠেছে এবং মানুষ জীবনের মৌলিক চাহিদাগুলোর সংস্থান করতে না পারলেও সুন্দরভাবে সহাবস্থান করছে তাই ঢাকা শহরের সবচেয়ে দামী হোটেল সোনারগাঁওয়ের ঠিক পিছনেই একসময় ঢাকার অন্যতম বড় বস্তি ছিলো। ঠিক একই অবস্থা গুলশান বনানীরও। গুলশান বনানীকে ধরা হয় বর্তমান ঢাকার সবচেয়ে অভিজাত এলাকা কিন্তু ঠিক তার মাঝখানেই বিষফোঁড়ার মতো আছে কড়াইল বস্তি। এটাকে অনেকেই বিষফোঁড়া মনেকরলেও সবাই জানে কড়াইল বস্তি গুলশান বনানীর মানুষের জীবনযাপনকে কতটা সহজ করে দিয়েছে। অপরদিকে কড়াইল বস্তিতে থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ সহজেই গুলশান বনানী থেকে নিজেদের জীবিকা সংগ্রহ করতে পারছে।
আমার মতে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে বাংলাদেশের কৃষক, গার্মেন্টেসের মেয়েগুলো আর বিদেশে বাস করা প্রবাসীরা। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব যেকোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের কপালে ভাঁজ ফেলে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। এতো কম জায়গায় এতো জনসংখ্যা থাকলে শুরুতেই যে প্রশ্নটা মাথায় আসে সেটা হলো কিভাবে সেই জনসংখ্যার খাদ্যের যোগান দেয়া হয়। বাংলাদেশের কৃষক রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে মানুষের মুখের আহারের ব্যবস্থা করছে। গার্মেন্টসের মেয়ে গুলোও রাতদিন এককরে পরিশ্রম করে আমাদের অর্থনীতির চালিকা শক্তিকে সচল রেখে চলেছে নাম মাত্র বেতনের বিনিময়ে যে বেতন দিয়ে মানুষ যে চলতে পারে এটা হয়তোবা অনেকের কল্পনাতেই আসবে না। আর প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে দেশেই গেছেন তাদের সততা এবং পরিশ্রম দিয়ে সেদেশেরই মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। আর দিন শেষে খাটুনির পয়সাটা দেশে থাকা স্বজনের কাছে পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর সব দেশই তাদের সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে মোকাবিলা করছে। এই ভাইরাস যেহেতু অতি দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত এর কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি তাই জীবনহানির সংখ্যাটা বেশ বড় যদিও তা রোগাক্রান্ত রোগীর মোট সংখ্যার মাত্র দুই বা তিন শতাংশ। এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে তাই বিভিন্ন দেশ তাদের জনসাধারণকে যেকোন জনসমাগম এড়িয়ে চলতে বলেছে। আমার কেন জানি মনেহয় করোনাভাইরাস মোকাবিলা করা গেলেও করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিবে সেটা মোকাবিলা করতে আরো কয়েক দশক লেগে যাবে পৃথিবীর মানুষদের। এর আগেও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা করতে অনেক সময় লেগেছিলো যদিও বাংলাদেশের কৃষি নির্ভর অর্থনীতিতে সেটার প্রভাব তেমন একটা পড়েনি। এইবারও হয়তোবা অতটা পড়বে না কিন্তু ইতোমধ্যেই গার্মেন্টস শিল্পের অনেক ক্রয়াদেশ বাতিল করা হয়েছে যারফলে বহু মানুষ রাতারাতি বেকার হয়ে যেতে পারে। অবশ্য বিজিএমই এর বর্তমান সভাপতি নিশ্চয়তা দিয়েছেন কর্মীদের সকল বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। এটা অবশ্যই অনেক শুভ উদ্যোগ।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষদের ভাগ্য আমলাতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার হাতে সেটা যে কত ভয়ঙ্ককর সেটা আমরা যারা কিছুদিনের জন্য হলেও সরকারি চাকরি করেছি তারা হাড়েহাড়ে টের পেয়েছি। সেখানে টেকনিক্যাল ক্যাডারের লোকজন সবসময়ই নিগৃহীত যদিও ছাত্রজীবনে তারাই ছিলো সামনের সারিতে কিন্তু বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় তারা নিজের নিজের বিষয় পছন্দ করাতেই রাতারাতি তারা প্রশাসনের এমন সব লোকজনের নিচের পদে চলে যান যাদের না আছে দেশের জ্ঞান, না আছে সমাজের জ্ঞান। তারা শুধুই পারেন যেভাবেই হোক নিজের স্বার্থটা পুরোপুরি বুঝে নিতে। করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই চিকিৎসার সাথে জড়িতরা তাদের জন্য পিপিইর ব্যবস্থা জোরদার করতে বলেছিলো কিন্তু প্রশাসন সেদিকে কান না দিয়ে দিনের পর দিন শুধু মিডিয়াতে বড় বড় বুলি আউড়ে গেছে। পরবর্তীতে যখন বিভিন্ন সংগঠন থেকে যখন পিপিইর ব্যবস্থা করা হলো সেগুলোও গেলো প্রশাসনের লোকজনের কোঠায়। তারা এতটাই নির্বোধ যে সেই পিপিই পরে নিজের অফিসে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টও করেছে। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের কর্মকর্তাদের সামান্য মাস্কও দিতে পারবে না বলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
যা হোক বাংলাদেশ সরকার অবশেষে স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে। আর পাশাপাশি দশ দিনের সরকারি ছুটির ঘোষণা দিয়েছে। স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ার ফলে রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে বহু মানুষ রাতারাতি বেকার হয়ে গেছে যারা প্রত্যেকদিন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। অন্যদিকে সরকারি ছুটি পেয়ে মানুষ ঈদের আনন্দ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে। যার ফলে করোনা প্রতিরোধের যে প্রাথমিক ধাপ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সেটা লঙ্ঘিত হচ্ছে। বাংলাদেশে এখনও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়নি কারণ বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে শ্রেণী বৈষম্য প্রকট। একটা সমাজ ব্যবস্থায় মানুষে মানুষে শিক্ষা, সামাজিকতা, অর্থনীতি, মানসিকতার এতটা তারতম্য বোধহয় বিশ্বের আর কোন দেশে নেই।একশ্রেণী অন্যশ্রেণীকে বিভিন্ন কটুক্তিতে ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। আর যারা সরকারি চাকরি করেন তাদের মনোভাব অনেকটা এমন যে পুরো দেশটাই উনাদের পৈতৃক সম্পত্তি তাই উনারা যখন যা খুশি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং বদলাতেও পারেন। যাইহোক দিন আনে দিন খায় মানুষগুলোর জন্য বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং ব্যক্তি কাজ করছে কিন্তু এখন পর্যন্ত অন্যান্য দেশের মতো রাষ্ট্রিয় উদ্যোগ দেখা যায়নি। জানিনা অদূর ভবিষ্যতে দেখা যাবে কি না?
এইবার আমরা একটু বহির্বিশ্বের দিকে নজর দেই। আমার মতে করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে কার্যকরী অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে কানাডা। তারা বিভিন্ন রকমের ছাড় এবং প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে এবং সেগুলো একে একে কার্যকর করতে উদ্যোগ নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়াও বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে তবে লক্ষণীয় বিষয় যে কেউই পুরোপুরি লকডাউন কার্যকর না করে একে একে বিভিন্ন সুবিধাদি বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি মানুষকে ঘরে থাকতে উৎসাহিত করছে। আমার মতে সত্যিকার অর্থে পুরোপুরি লকডাউন সম্ভবও না। কাউকে না কাউকে ঘরের বাইরে যেতেই হবে বাকি মানুষগুলোর মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্য। তন্মধ্যে চিকিৎসাসেবার সাথে জড়িতদের ভূমিকা সবচেয়ে অগ্রগণ্য। উন্নত দেশে সবাই কোন না কোন কর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করে একেবারেই হাতেগোনা কিছু মানুষ সরকারের কাছ থেকে ভাতা নিয়ে জীবন ধারণ করে তাই চিকিৎসাসেবার সাথে জড়িত মানুষগুলোর ছেলেমেয়েদের আলাদাভাবে দেখভাল করার কেউ নেই তাই হয়তোবা এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াতে স্কুলগুলো খোলা রাখা হয়েছে। আমার নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যদি স্কুল বন্ধ করে দেয় তাহলে আমরা সমূহ বিপদে পড়বো কারণ আমার গিন্নি একজন চিকিৎসক তাই তার ছুটির প্রশ্নই উঠে না আর আমাদের অফিসও এখন পর্যন্ত খোলা আছে। অবশ্য অনেকেই যারা ঘরে বসে সময় পার করেন তারা ফেসবুকে ধোঁয়া তুলেছেন সবকিছু পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার।
অস্ট্রেলিয়াতে ইতোমধ্যেই বহু মানুষ কর্ম হারিয়েছে এবং সেই সংখ্যাটা দিনেদিনে বেড়েই চলেছে। এরফলে নাগরিকদের সুবিধাদি নিশ্চিত করতে যে সেন্টারলিংক সার্ভিস তার সামনে লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে এমনকি এই সার্ভিসগুলোর অনলাইন পোর্টাল ভেঙে পড়েছে আবেদনের সংখ্যার চাপ সামলাতে না পেরে। অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত বিশ্বের দেশে যেখানে সকল নাগরিকের মৌলিক সুবিধাগুলোর নিশ্চয়তা দিতে রাষ্ট্র বদ্ধ পরিকর সেখানকার পরিস্থিতিই এখন ভয়াবহ সেখানে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের যারা দিন আনে দিন খায় ভিত্তিতে জীবনযাপন করতো তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)