শুরুর দিকে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এরই মধ্যে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়েছে। শুধু গত ২৪ ঘণ্টাতেই আক্রান্ত হয়েছে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি। মোট আক্রান্ত সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ।
ভারতে নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। আর প্রাণ হারিয়েছে ১৩ জন। গত মাসে দিল্লিতে তাগলীগ জামায়াতের এক ধর্মীয় সমাবশ হওয়ার পরেই দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ভয়ংকরভাবে বাড়তে থাকে।
দেশটির মোট আক্রান্তের ৩০ শতাংশই আলোচিত ওই আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের মাধ্যমে ১৭টি রাজ্য ও ইউনিয়নে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়েছে। ওই সমাবেশকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা (হটস্পট) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ এড়াতে দেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই অবস্থা। কিন্তু তার মধ্যেও দেখা যাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
পাকিস্তানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩০০ জন। আর প্রাণ হারিয়েছেন ৪৪ জন।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা বোঝাতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সবাইকে ‘বোকা’ হয়ে না থাকার আহ্বান জানান। করোনা পাকিস্তানিদের আক্রান্ত করবে না- এমনটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস কাউকেই ছাড় দেবে না। তাই যথাযথ পূর্বসতর্কতা নিন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। পরে বিশ্বব্যাপি সেটা মহামারীর রূপ ধারণ করে। সারা বিশ্বে রোববার পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়িয়েছে। আর প্রাণ হারিয়েছে ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাবে বিশ্বব্যাপি চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২৪৬,৬৩৪ জন।