করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে ১৭ মার্চ ২০২০ তারিখ থেকে দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে মেয়াদ বাড়িয়ে ৯ এপ্রিল করা হলেও এই ছুটি ঈদুল ফিতর পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে মিডিয়াতে খবর এসেছে। অর্থাৎ প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রায় তিন মাসের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ছুটি পাচ্ছে ভয়াবহ এই দুর্যোগের কারণে।
স্বাভাবিকভাবে পাওয়া ছুটির সঙ্গে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট ছুটির পার্থক্য রয়েছে। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট কোন তারিখ থেকে ক্লাস শুরু করতে পারবে তা বলা দুরূহ কারণ সবকিছু নির্ভর করছে করোনাভাইরাসের আক্রমণকে কতো দ্রুত সামলানো যাবে তার ওপর। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এটুকু অন্তত অনুধাবন করা যাচ্ছে যে, আমাদের পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে করোনাভাইরাস কয়েক মাস পিছিয়ে দিয়েছে।
লেখাপড়ায় যাতে পুরোপুরি ছেদ না পড়ে, সেজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অবশ্য কিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। ২৯ মার্চ থেকে সংসদ টেলিভিশনে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বিষয়ভিত্তিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সীমিত আকারে প্রতিটি শ্রেণির দুটো করে ক্লাস হচ্ছে। বলা হচ্ছে, টেলিভিশনে ক্লাস নেওয়ার পর বাড়ির কাজ দেওয়া হবে যা শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় খোলার পর নিজ শিক্ষকদের কাছে জমা দেবে। এই বাড়ির কাজের ওপর প্রাপ্ত নম্বর ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
মাধ্যমিকের অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্যও একইভাবে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুরুতে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির জন্য ক্লাস নেওয়া হলেও পরবর্তীতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির জন্যও ক্লাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ তৈরি করেছে। যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উক্ত সফটওয়্যার ব্যবহার করে চাইলে এ-সময়ে তাদের শিক্ষাকার্যক্রম কিছুটা এগিয়ে রাখতে পারবে। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়। সংখ্যায় খুব কম হলেও কিছু পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এই অনলাইন পদ্ধতিতে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করেছেন। অবশ্য, অনলাইনে ক্লাসের উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন কারণে তা বাস্তবায়ন করতে পারেননি বা চলমান রাখতে পারেননি, এমনটিও ঘটেছে ইতোমধ্যে।
দেখা যাচ্ছে, একমাত্র কলেজ ছাড়া অন্যান্য স্তরগুলোতে শিক্ষাকার্যক্রম সীমিত পরিসরে হলেও চালিয়ে রাখার দৃশ্যমান উদ্যোগ রয়েছে। কলেজ পর্যায়ে কেন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো না তা জানা নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, উদ্যোগ ভালো হলেও এসব উদ্যোগ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে কি? গৃহীত এসব উদ্যোগের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী কতোটুকু প্রস্তুত?
বলা বাহুল্য, উদ্যোগসমূহ নেওয়া হয়েছে মাত্র কিছুদিন হয়েছে এবং এই্ স্বল্পসময়ে এসব উদ্যোগ নিয়ে বিশদ ও গভীর মন্তব্য করার সময় আসেনি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আন্তরিক ধন্যবাদ পাবে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। পরিস্থিতির কারণে এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণ বিবেচনায় দ্রুত ছুটি ঘোষণা করতে হয়েছে মন্ত্রণালয়দ্বয়কে, কিন্তু দীর্ঘদিন ছুটিতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি কীভাবে কমিয়ে আনা যায়, সেই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করাটা প্রশংসনীয়।
এখন পর্যন্ত গৃহীত উদ্যোগগুলোকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমটি টেলিভিশনের মাধ্যমে দূরশিক্ষণের অন্তর্ভুক্ত, দ্বিতীয়টি অনলাইন শিখন-শিক্ষণের আওতাভুক্ত। যদিও টেলিভিশনের মাধ্যমে দূরশিক্ষণের কার্যক্রম আমাদের অপরিচিত নয়, তবে বর্তমানে যেভাবে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে, তাতে এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মিডিয়াতে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে এ নিয়ে। বলা হচ্ছে, টেলিভিশনের ক্লাস থেকে শিক্ষার্থীরা প্রত্যাশানুযায়ী শিখতে পারছে না।
টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষাদানের এই প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শিক্ষাদানের চেয়ে আলাদা। ফলে এর কার্যক্রম, শিখন-শিক্ষণ প্রক্রিয়া, মূল্যায়ন ইত্যাদি সবই আলাদা হওয়া প্রয়োজন। বাস্তব ক্লাসে শিক্ষার্থীরা যেভাবে শিক্ষকের সঙ্গে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ায় শিখতে পারে, সেটি এখানে অনুপস্থিত, স্বাভাবিকভাবেই। ফলে, টেলিভিশনে যেভাবে শিক্ষাদানের কলাকৌশল ঠিক করা হয়েছে, সেগুলো গভীর পর্যালোচনার দাবি রাখে। পাঠ্যপুস্তকের সব পাঠ একইভাবে পড়া বা শেখা সম্ভব নয়; সম্ভব নয় একইভাবে মূল্যায়নও। মূলধারার শিক্ষার্থীরা যেহেতু টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণে অভ্যস্ত নয়, ফলে তাদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি কাজ করার কথা।বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে দূরশিক্ষণ নিয়ে কাজ করছে। দূরশিক্ষণকে কীভাবে কার্যকর ও ফলপ্রসূ করা যায়, সে-বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রচুর। এ কার্যক্রমে তাদের যুক্ত করা হয়েছে কি না জানা নেই, কিন্তু ধারণা করি, যথাযথভাবে যুক্ত করা হলে টেলিভিশনের মাধ্যমে দূরশিক্ষণ কার্যক্রমটিকে আরও মানসম্পন্ন করা সম্ভব হতো। যেখানে মাধ্যমিক পর্যায়েই বিভিন্ন সমস্যা দেখা গেছে, সেহেতু প্রাথমিক পর্যায়ে এটি কি কতোটুকু সফল হবে? টেলিভিশনের মাধ্যমে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনাগ্রহ যেন সৃষ্টি না হয়, সেটি খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে, টেলিভিশনের এই শিক্ষাকার্যক্রম শিক্ষার্থীরা যথাযথভাবে দেখতে পাচ্ছে কি না? বাংলাদেশে সব পরিবারে টেলিভিশন রয়েছে— এমনটি বলা যাবে না। যেসব শিক্ষার্থীর টেলিভিশন দেখার সুযোগ নেই, তাদের জন্য তো কোনো বিকল্প তৈরি করা হয়নি। সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র বা পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা এখানে আরও পিছিয়ে পড়বে। টেলিভিশনে যেসব বাড়ির কাজ দেওয়া হবে, সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে।
যেসব শিক্ষার্থী টেলিভিশন দেখারই সুযোগ পেলো না, তারা কীভাবে বাড়ির কাজ করবে? টেলিভিশন না থাকায় একদিকে তারা ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অপরদিকে মূল্যায়নেও তারা সুযোগ হারাচ্ছে। বিষয়টি নীতিনির্ধারকরা ভেবে দেখবেন বলে আশা করি।
বিশ্ববিদ্যালয়-পর্যায়ে যদিও অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এটি কতোটুকু কার্যকর হবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ক্লাস নেওয়ার মতো যথাযথ কারিগরি সহযোগিতা পাচ্ছে ইউজিসির কাছ থেকে, এটি একটি বড় বিষয়; কিন্তু শিক্ষার্থীরা এ থেকে আদৌ উপকৃত হবে কি? যেমন, অনলাইন শিখন-শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় যেসব উপাদান গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে, ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন যেখানে ভিডিওতে সরাসরি অংশগ্রহণ করা যাবে এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ। অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে, অনেক শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ তো দূরের কথা, এ কার্যক্রম চালানোর মতো চলনসই স্মার্টফোনই নেই। অনেকে নিম্নমানের স্মার্টফোন ব্যবহার করে, অনেকে ব্যবহার করে ফিচার ফোন। অনলাইনভিত্তিক এ কার্যক্রমে তারা শুরুতেই বাদ পড়বে।
এছাড়া অনলাইন শিখনে ভিডিও-স্ট্রিমিংয়ের দরকার হয় বলে এতে প্রচুর ডেটা খরচ হয়। অনেক শিক্ষার্থী তাদের নিত্যকার প্রয়োজন মেটানোর জন্য ৫০ মেগাবাইট, ১০০ মেগাবাইট বা এ-ধরনের ডেটাপ্যাক কিনে ব্যবহার করে। তাদের পক্ষে প্রতিনিয়ত বেশি গিগাবাইটের ডেটা ব্যবহার করা কষ্টসাধ্য বা অসম্ভব। ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন থাকলেও এই দ্বিতীয় ধাপে এদের অনেকেই বাদ পড়বে অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা থেকে। যাদের ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন আছে এবং পর্যাপ্ত ডেটা প্যাক কিনতে সমর্থ, তাদেরও অনেকেই অনলাইন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে না ভিন্ন আরেকটি কারণে। সেটি হচ্ছে, নেটওয়ার্ক। অনেক শিক্ষার্থী এলাকায় ফোরজি নেটওয়ার্ক নেই। ফলে তাদের নিজস্ব হার্ডওয়্যার ও পর্যাপ্ত ডেটা কেনার অবস্থায় থাকলেও কেবল নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণেই তারা এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
এটি গেলো শিক্ষার্থীদের কথা। শিক্ষকদেরও অনেকেই এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না কেবল যথাযথ দক্ষতা ও আগ্রহের অভাবের কারণে। বলতে দ্বিধা নেই, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের অনেক শিক্ষক প্রযুক্তির সাধারণ দিকগুলো সঙ্গে পরিচিত নন। তাঁদের পক্ষে বিশেষায়িত সফটওয়্যার ব্যবহার করে ক্লাস নেওয়া অসম্ভব কাজই বটে! এখানে এ-ও বলা প্রয়োজন— অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও ছুটি কাটাতে চাইবেন ছুটির মতো করেই, পর্যাপ্ত দক্ষতা ও সুযোগ থাকলেও তারা এ-ধরনের শিখন-শিক্ষণে আগ্রহ দেখাবেন না। তাদের আগ্রহের অভাবও এ কার্যক্রমকে সফল না-হওয়ার কারণ হিসেবে ধরা যেতে পারে।
দুর্যোগকালীন শিক্ষাপ্রস্তুতি স্বভাবতই ভিন্ন হবে। এটি আশাপ্রদ যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন যাতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি না হয়। তবে যেকোনো উদ্যোগ তখনই সফল হয় যখন সে বিষয়ে পূর্বপ্রস্তুতি থাকে, কিংবা স্বল্পসময়ে অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর করা যায়।
টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রক্রিয়া চলমান রাখার বিষয়টি প্রশংসনীয়, কিন্তু এর সঙ্গে বাংলাদেশ বেতারকে যুক্ত করতে পারলে এবং সেভাবে ক্লাসসমূহ ডিজাইন করলে অন্তত আরও বেশি শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানো যেতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো প্রচুর ডেটা খরচ করে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট ইন্টারনেট প্রোভাইডাররা এক্ষেত্রে অন্তত শিক্ষার্থীদের জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা করতে পারতো। কিংবা নির্দিষ্ট কিছু সফটওয়্যার যেগুলো কেবল লেখাপড়ার কাজে ব্যবহৃত হবে, সেগুলোর জন্য ডেটা খরচ না নিলে অনেক শিক্ষার্থীরই অন্তত একটি সমস্যা দূর হতো।
সদিচ্ছা, প্রস্তুতি, মনোভাব ও পরিকল্পনার বাস্তবায়ন— প্রতিটিই আলাদা আলাদাভাবে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কার্যক্রমকে সফল করার জন্য। করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের মানুষ এখন যে দুর্যোগপূর্ণ সময় পার করছে, তার প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়নি। পেলে হয়তো গুছিয়ে কিছু পরিকল্পনার বাস্তবায়ন সম্ভব হতো। বর্তমান অবস্থা আমাদের এটুকু অন্তত জানাচ্ছে যে, দুর্যোগকালীন শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনায় আমাদের ঘাটতি রয়েছে, এবং সেটি মূলত অবকাঠামো দিক দিয়ে। এই সীমাবদ্ধতা কীভাবে কাটানো যেতে পারে সেটিও নীতিনির্ধারকদের আলোচনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ দুর্যোগের দেশ, এবং দুর্যোগকে পরাস্ত করে উঠে দাঁড়ানোর দেশ। করোনাদুর্যোগের অভিজ্ঞতাটুকু আমরা যেন আমরা পরবর্তীতে কাজে লাগাতে পারি, সেই শিক্ষাটুকু অনুধাবন করতে পারলে বর্তমান অনাকাঙ্ক্ষিত ছুটি থেকে সেটিই হবে বড় পাওয়া।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)