চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

করোনাভাইরাস: কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত খুলে দেয়ার মেয়াদ আরও বাড়লো

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত খুলে দেয়ার মেয়াদ আরও একমাস বাড়ানো হয়েছে। কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যম সিটিভি নিউজ নিশ্চিত করেছে, কানাডিয়ান এবং মার্কিন কর্মকর্তারা ২১ আগস্ট পর্যন্ত অপরিহার্য ভ্রমণে দু’দেশের সীমান্ত বন্ধ রাখার বিষয়ে একমত হয়েছেন। 

সূত্র বলছে যে, উভয় সরকারই এক মাসের জন্য সীমান্ত বিধিনিষেধ ব্যবস্থা বাড়িয়ে একই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ।

বিচক্ষণতার সাথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাটি মার্চ মাসে প্রথম চালু হয়েছিল এবং এর পর থেকে প্রতি মাসে বাড়ানো হয়েছে। ২১ জুলাই সর্বশেষ মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো মেয়াদ বাড়ানো হলো।

উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিনই প্রায় ৬০ হাজারেরও বেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে, অন্যদিকে কানাডায় সেই তুলনায় অনেক অনেক কম। যে কারণে কানাডিয়ানরা বর্ডার খুলে দেয়ার ব্যাপারে একমত নন।

ইতিমধ্যে কংগ্রেসের মার্কিন সদস্যরা কানাডার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্বের সীমানা পুনরায় চালু করার জন্য চাপ দিয়েছেন, তবে কানাডিয়ানরা তা প্রত্যাখ্যান করছেন।

উল্লেখ্য, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গতমাসে ঘোষণা করেছিলেন কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্র কমপক্ষে ২১ জুলাই পর্যন্ত দু’দেশের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ সীমাবদ্ধ রাখবে। গতমাসে তিনি আরো বলেছিলেন, ‘বিদ্যমান চুক্তির সম্প্রসারণের অর্থ হলো সীমানা বিধিনিষেধ ২১ জুলাই পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, এমনকি উভয় দেশ তাদের অর্থনীতি পুনরায় চালু রাখার পরেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যা আমাদের উভয় দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখবে।’

কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গতমাসে প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েই বলেছেন যে কানাডার সীমানা আন্তর্জাতিক ভ্রমণে পুনরায় চালু করা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। কারণ বিশ্বব্যাপী দেশগুলি এখনও মহামারী নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে এবং আরও শক্তিশালী যোগাযোগের সন্ধান এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

এখন পর্যন্ত কানাডায় ১ লাখ ৮ হাজার ৪৮৬ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৮,৭৯৮ জন মারা গেছেন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭২ হাজার ১৭০ জন।

অন্যদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ২১ আগস্ট পর্যন্ত বর্ডার খুলে দেয়ার বর্ধিতকরণ সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এই সপ্তাহের শেষে করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বর্ডার খুলে দেয়ার মেয়াদ বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তকে কানাডিয়ানরা সময় উপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। স্থানীয় নীতিনির্ধারক ও বিশ্লেষকেরা মনে করেন বৈশ্বিক মহামারীর এই সময়ে দুই দেশের কথা চিন্তা করে বর্ডার খুলে দেয়া ঠিক হবে না।