করোনাভাইরাসে কানাডায় মৃত্যু দেখতে দেখতে ২৩ হাজার ১৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো কানাডাতেও নতুন করে করোনার প্রকোপ বাড়ছে।
কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ ব্রিটিশ কলম্বিয়া, অন্টারিও, মন্টিয়ল এবং আলবার্টাতেও নতুন করে করোনাভাইরাস বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নতুন করে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ বিধিনিষেধ মেনে চলার জন্য গুরুত্বসহকারে পরামর্শ দিয়েছেন।
একাধিক সূত্র কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যম সিটিভি নিউজ টরন্টোকে নিশ্চিত করেছে যে, অন্টারিও সরকার একটি স্টে-অ্যাট-হোম অর্ডার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে, তবে আদেশটি প্রদেশব্যাপী জারি করা হবে নাকি আঞ্চলিকভাবে কার্যকর হবে তা নিশ্চিত নয়।
অন্টারিওতে গত পাঁচ দিনে প্রায় ১৫ হাজার নতুন করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং আইসিইউতেও নতুন রোগীদের চাপ বাড়ছে।
মঙ্গলবার অন্টারিও প্রদেশের প্রিমিয়ার ফোর্ড বলেন, আমরা খুব দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার জন্য আরও বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছি এবং আবারও আমরা টরন্টোর তিনটি অঞ্চল, ইয়র্ক, পিল, কোভিডের ক্ষেত্রে যেখানে ৬০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে সেখানে আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে।
কানাডায় ভ্যাকসিন সরবরাহ নিয়ে ফেডারেল সরকারের প্রতি আবারও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড। গত সপ্তাহে ভ্যাকসিন সরবরাহে ফের বিলম্ব হওয়ার খবর শোনার পর তিনি একে তামাশা বলে মন্তব্য করেন।
গতবছর কানাডায় সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ২০ হাজার ৮৯৩ জন।