আসাদুজ্জামান বাবুল: গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মন্দিরভিত্তিক একটি স্কুলের শিক্ষিকা শিখা রানী ঠাকুরের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি উপজেলার উজানি ইউনিয়নের টিকারডাঙ্গা গ্রামের গোপাল ঠাকুরের স্ত্রী।
বুধবার দিবাগত রাতে শিখা রানী নিজ বাড়ীতে মারা যান বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ।
তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, মন্দিরভিত্তিক স্কুলের শিক্ষিকা শিখা রানী ঠাকুর বেশ কয়েক দিন ধরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর-সর্দি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। বুধবার রাতে তিনি তিনি মারা যান।
এ নিয়ে গোপালগঞ্জ জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ জনে। তারা সবাই নারী। এরমধ্যে, কাশিয়ানীতে ১ জন. টুঙ্গিপাড়ায় ১ জন এবং মুকসুদপুরে ১জন।
এছাড়াও মুকসুদপুর উপজেলায় থানা পুলিশের ৪ সদস্য, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় এক দম্পত্তিসহ ৩ জন ও সদর উপজেলায় ৩ জনসহ মোট ১০ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আক্রান্ত ব্যক্তিরা সকলেই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ থেকে গোপালগঞ্জে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জ জেলা লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে শহরে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। এলাকার দোকানপাট খুলেছে। ব্যাংকগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
করোনা ভাইরাস ও লকডাউনের ভয় উপেক্ষা করে পেটের তাগিদে খেটে খাওয়া মানুষজন খুব ভোর থেকেই নিজ নিজ কাজে রাস্তায় নেমেছে।
তাদের দাবি, সরকার থেকে এখনও পর্যন্ত কিছুই পাইননি।