করোনাভাইরাস: ঈদুল আযহা উদযাপনে সাত দফা নির্দেশনা
ঈদগাহ বা উন্মুক্ত স্থানের পরিবর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ মসজিদে
স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিদের পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ নিকটস্থ মসজিদে আদায়ের আহবান জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি ঈদ পরিকল্পনায় সাত দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রোববার পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন উপলক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নুরুল ইসলাম।
সভার গৃহীত সিদ্ধান্ত সাত দফা নির্দেশনা হলো
- করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত কারণে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজের জামাত ঈদগাহ কিংবা উন্মুক্ত স্থানের পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায়ের জন্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের অনুরোধ করা হয়েছে।
- এ বছর করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক ঈদের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহ এর পরিবর্তে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।
- ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে বাণী প্রদান করবেন। এ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং “ঈদ মোবারক” খচিত ব্যানার ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড সমূহে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভা থেকে। এছাড়া, ঈদুল আযহা দিবাগত রাত্রিতে নির্দিষ্ট সরকারি ভবনসমূহ এবং সামরিক গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহ আলোকসজ্জা করা হবে।
- সভায় সিদ্ধান্ত হয়: সারাদেশের বিভাগ- জেলা- উপজেলা- সিটি কর্পোরেশন- পৌরসভা- সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ-বেসরকারি সংস্থাসমূহের প্রধানরা জাতীয় কর্মসূচির আলোকে নিজ নিজও কর্মসূচি প্রণয়ণ করে পবিত্র ঈদুল আযাহ উদযাপন করবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি গণমাধ্যমসমূহ যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে এবং সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হবে।
- পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন উপলক্ষে দেশের সকল হাসপাতাল- কারাগার- সরকারি শিশুসদন- বৃদ্ধনিবাস- মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র সমূহে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন এর ব্যবস্থা করা হবে।
- বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশন গুলোতে যথাযথভাবে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রক্ষার্থে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
- কোরবানির পরে জবাই করা পশুর রক্ত- বর্জ্য পদার্থ থেকে যাতে পরিবেশ দুর্গন্ধময় না হয় সে বিষয়ে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঈদুল আযহার আগে জুমার খুতবায় এবিষয়ে মুসল্লিদের সচেতন করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা ও বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মোঃ আনিছুর রহমান এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, তথ্য, জনপ্রশাসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিরা এ ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন।
সভায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম এর পক্ষে আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন, মাওলানা আনাস মাদানী, মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন, মাওলা নুরুল আমিন, হাফেজ মাওলানা আব্দুল আলিম রিজভী, মুফতি মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা ড. কাফিলুদ্দীন সরকার সালেহী, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা মোসাদ্দিক বিল্লাহ আল মাদানী প্রমুখ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ ভার্চুয়াল সভায় অংশ গ্রহণ করে তাদের মতামত দেন।