চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

করোনাকালে ঘরের কাজে নারীর চাপ বেড়েছে

৭৭.৭৮ শতাংশ নারী প্রধান পরিবার অর্থনৈতিক অনটনে পড়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই অনানুষ্ঠনিক খাতের। নারীদের অনেকেই কাজ বা চাকরি হারিয়েছেন। পাশাপাশি বেড়েছে অস্বাভাবিক মাত্রায় ঘরের কাজের চাপ’।

‘বাংলাদেশে ২০২০-এ করোনা চলাকালে সংসারের সেবাকাজের দ্রুত বিশ্লেষণ’ শীর্ষক জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট ফোরাম ‘ফরমাল রিকগনিশন অফ দ্যা উম্যান’স আনকাউন্টেড ওয়ার্ক’ এর উদ্যোগে জরিপটি পরিচালনা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন শারমিন্দ নিলোর্মী, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

এই ফোরামের সদস্য সংস্থাগুলো হচ্ছে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংস্থা, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ, অক্সফাম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।

এই সময়ে গ্রাম ও শহরের পরিবারগুলোতে কত মানুষ কাজ হারিয়েছেন, দারিদ্রের হার কতটা বেড়েছে, নারীর আয় কতটা কমেছে, ঘরে নারী-পুরুষের কাজের আনুপাতিক হিসাব, ইত্যাদি তুলে ধরার লক্ষ্যে জরিপটি পরিচালনা করা হয়েছে।

জরিপে দেখা যায়, করোনাকালীন সময়ে সেবা কাজের আলোচনায় সার্বিক অর্থনৈতিক সংকটকে করোনাকালে শহর ও গ্রাম মিলিয়ে ৪৮.৪৯ শতাংশ পরিবার থেকে অন্তত একজন কাজ হারিয়েছেন বা কাজ পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কাজ হারিয়ে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন শহরের ৭৩.৩ ভাগ
মানুষ এবং গ্রামের ৯২.৫ ভাগ মানুষ।

জরিপে অংশগ্রহণকারী উত্তরদাতাদের মধ্যে শতকরা ৭৬ জন বলেছেন, মহামারির সময়ে তাদের পরিবারের আয় কমে গেছে। ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা আয়কারী ব্যক্তিদের মধ্যে শতকরা ৬৮ জনের আয় কমেছে। এর মানে হচ্ছে এই মানুষগুলো দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়েছেন। ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয়কারীদের শতকরা ৭৩ জনের আয়ও হ্রাস পেয়েছে।

ফলাফলে আরো দেখা যায়, কৃষিনির্ভর পরিবারগুলোর অবস্থা কিছুটা ভালো থাকলেও, যারা অকৃষি কাজের সাথে জড়িত অর্থাৎ শ্রমজীবি মানুষের অবস্থা বেশি খারাপ।

শনিবার এক অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন সোকো ইশিকাওয়া, ইউ এন উম্যানের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ। জরিপের উপর
আলোচনা করেছেন ড. ফাহমিদা খাতুন, নির্বাহী পরিচালক, সিপিডি এবং মেহেদী মাসুদুজ্জামান, ডেপুটি সেক্রেটারি, ফিন্যান্স ডিভিশন। আরো বক্তব্য রেখেছেন বিএনপিএস এর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর, একশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সারাহ কবীর এবং সার হল, উম্যান এমপাওয়ারমেন্ট এন্ড কেয়ার প্রোগ্রামের ম্যানেজার, অক্সফাম, গ্রেট ব্রিটেন।