সুযোগ ছিল সেঞ্চুরির। কেন রিচার্ডসনের করা ইনিংসের শেষ বলে দুই রান তুললেই চলত। ডেভন কনওয়ে নিতে পারলেন সবে ১! তাতে প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির সুবাস পেতে পেতে ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে গেলেন কিউই ব্যাটসম্যান।
সেঞ্চুরি না পেলেও কনওয়ের ইনিংসের মাহাত্ম্য মোটেও কমছে না। তার ইনিংসের কল্যাণে ট্রান্স-তাসমান সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে মহাদেশীয় ‘মহাশক্তি’ অস্ট্রেলিয়াকে ৫৩ রানে হেসেখেলে হারিয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
ক্রাইস্টচার্চে সোমবার প্রথমে ব্যাট করতে নামা স্বাগতিকরা একসময় ১৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কাঁপছিল। তখন হাল ধরেন ফর্মে থাকা কনওয়ে। টি-টুয়েন্টিতে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের টানা পঞ্চম ফিফটিতে কিউইরা গড়ে ৫ উইকেটে ১৮৪ রানের বড় সংগ্রহ। জবাবে ১৩১ রানে অলআউট অজিরা।
ইনিংসের মাত্র তৃতীয় ওভারে ব্যাট ধরতে হয়েছে কনওয়েকে। তার আগে রানের খাতা না খুলে ফিরে গেছেন ওপেনার মার্টিন গাপটিল। আরেক ওপেনার টিম সেইফার্ট মাত্র ১ করে ফিরতেই নেমে পড়লেন এ অলরাউন্ডার, সঙ্গী অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। নিউজিল্যান্ডের রান সবে ১১।
ড্যানিয়েল সামসের করা চতুর্থ ওভারে ১২ রান করে ফিরে যান উইলিয়ামসনও। পঞ্চম ব্যাটসম্যান গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে সেখান থেকে লড়াই শুরু কনওয়ের।
চতুর্থ উইকেটে ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে ৭৪ রান তুলে বিপর্যয় সামাল দিচ্ছিলেন কনওয়ে। ১৩তম ওভারে তাকে আরেক পাশে রেখে ৩০ করে ফিরে যান ফিলিপস। কিউদের রান তখনও শয়ের ঘর পেরোয়নি। ওই ওভারেই ফিফটি তুলেছেন কনওয়ে, ৩৬ বলে।
অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগে ঘরোয়া টি-টুয়েন্টি লিগে টানা চারটি ফিফটি পেয়েছেন কনওয়ে। শেষ তিনটিতে ছিলেন অপরাজিত। যার দুটি আবার ৯১ ও ৯৩ রানের ইনিংস। টি-টুয়েন্টিতে টানা পাঁচ ম্যাচে ফিফটি পাওয়া ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান কনওয়ে।
ফিফটি পেয়েই অজিদের উপর আরও চড়াও হয়ে খেলেছেন কনওয়ে। বাকি ২৩ বলে করেছেন ৪৯ রান।
কেন রিচার্ডসনের করা শেষ ওভারে চার বল খেলেছেন কনওয়ে, করেছেন ১২ রান। শেষ বলে যদি আরেকটি রান তুলতে পারতেন, পেতে পারতেন কাঙ্ক্ষিত প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি।
৫৯ বলের ইনিংস ১০ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কায় সাজিয়েছেন কনওয়ে। যোগ দিলেন পাঁচজনের এক অভাগা দলে! আগে টি-টুয়েন্টিতে চারজন ৯৯ রানে থেমেছেন। ডেভিড মালান, মোহাম্মদ হাফিজ, লুক রাইট ও অ্যালেক্স হেলস এক রানের জন্য পাননি সেঞ্চুরি। এরমধ্যে হেলস ছাড়া বাকি তিনজন ছিলেন অপরাজিত।
১৮৫ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ডের মতো শুরু করেও শেষে কোনো লড়াই জমাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ১৯ রানে নেই অজিদের টপঅর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যান।
ধুঁকতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কিছুটা লড়াই করতে পেরেছেন মিচেল মার্শ। ৩৩ বলে ৪৫ করে এ অলরাউন্ডার ফিরতেই ম্যাচ ঝুঁকে যায় স্বাগতিকদের দিকে। শেষে ১৫ বল আগেই অলআউট সফরকারীরা।