শিশুসাহিত্যিক, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগরের জন্মদিন ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রায় তিন দশকের বেশী সময় ধরে তিনি অনন্য উজ্জ্বলতায় সাহিত্য ও মিডিয়া জগতে অবদান রেখে চলেছেন। তার জন্মদিনে শিল্প সাহিত্য অঙ্গনের মানুষ ছাড়াও শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন মিডিয়া অঙ্গনের মানুষেরা। তাদেরই একজন ঢাকাই সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান।
চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত চিত্রনায়ক শাকিব খান তার ফেসবুক ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পেজ থেকে ফরিদুর রেজা সাগরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
শাকিব লিখেন, শিশু-সাহিত্যিক, চলচ্চিত্র প্রযোজক, দেশের টেলিভিশন মিডিয়া ও বাংলা সংস্কৃতির পুরোধা ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগরের জন্মদিন আজ। জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। সুস্থতা নিয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকুন। অনেক অনেক ভালোবাসা, শ্রদ্ধা প্রিয় সাগর ভাই।
মুঠোফোনে ফরিদুর রেজা সাগর প্রসঙ্গে চ্যানেল আই অনলাইনকে শাকিব খান বলেন, সাগর ভাই আমার কাছের মানুষদের একজন। অভিভাবক সমতুল্য বড়ভাই মনে করি তাকে। দেশীয় সংস্কৃতির সব ভালো ভালো কাজের সঙ্গে তিনি জড়িত। সহযোগিতা পরায়ণ চমৎকার একজন মানুষ। কখনও প্রচার না করলেও জানি সাগর ভাইয়ের কাছে গেলে তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করেন পাশে থাকার।
শাকিব খান বলেন, সাগর ভাই সবাইকে আগলে রেখেছেন। অনেকের প্রতিষ্ঠার পেছনে সাগর ভাইয়ের অবদান। ভালো ভালো দেশীয় সিনেমার পৃষ্ঠপোষক তিনি। তার প্রযোজিত সিনেমাগুলো বিশ্বের বড় বড় ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। সাগর ভাইয়ের বাবা মা দুজনই এদেশের শিল্প সাহিত্য এবং সাংবাদিকতায় অনেক অবদান রেখে গেছেন। সাগর ভাই তাদের যোগ্য উত্তরসূরি। তার জন্য আমার মন থেকে সবসময় ভালোবাসা। আরো অনেকদিন সাগর ভাই আমাদের মাঝে বেঁচে থাকুক। তার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়, সৈয়দ শামসুল হক, রাবেয়া খাতুন, হাসান আজিজুল হক, হুমায়ূন আহমেদ, আহমেদ ছফা, ইমদাদুল হক মিলন, মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রমুখ খ্যাতিমান লেখকদের সাহিত্যকর্ম নিয়ে বহু চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। এ পর্যন্ত তিনি শতাধিক চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। যার অধিকাংশই বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি চলচ্চিত্র উৎসবে বা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা বয়ে এনেছে।
কাজের স্বীকৃতি হিসাবে একুশে পদক পেয়েছেন ২০১৬ সালে। এছাড়া শিশুসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন ২০০৪ সালে। তার প্রযোজিত চলচ্চিত্রগুলো শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র প্রযোজনা ক্যাটেগরিতে ৮ বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এযাবৎ ২০০টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারে তিনি এ পর্যন্ত ৭ বার শ্রেষ্ঠ প্রযোজক হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনার জন্য বাচসাসসহ বিভিন্ন সংগঠন তাকে পুরস্কারে ভূষিত করেছে।